কলকাতা: আগামী ১৭ মে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বাঁকুড়ার সিমলাপালে সভা করার অনুমতি দিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চ। দুপুর ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সভা করায় অনুমতি দিয়েছেন তিনি। পুলিশ অনুমতি দিতে চায়নি। পরে শুভেন্দু আদালতের দ্বারস্থ হন।
পুলিশের অনুমতি না দেওয়া প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, সরকারের নির্দেশেই পুলিশের এই পদক্ষেপ। তাঁর দাবি এই ভাবেই রাজ্য সরকার তাঁদের কণ্ঠরোধ করতে চায়। সেই মামলারই শুনানি ছিল শুক্রবার।
আরও পড়ুন:Supreme Court | The Kerala Story | দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করা নিয়ে সুপ্রিম-তোপে রাজ্য
এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ওই দিন বাঁকুড়ার সিমলাপালে স্থানীয় একটি উৎসব রয়েছে। তাই অন্য কোনও সভা বা মিছিলের অনুমতি দেওয়া যাবে না। বিচারপতি জানতে চান, কী সেই অনুষ্ঠান। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, সেটা জানি না, পুলিশ সেরকমই বলেছে।
দুপক্ষের সওয়াল শেষে বিচারপতি মান্থা বিজেপিকে ১৭ মে সভার অনুমতি দেন। বলা হয়েছে, দুপুর ৩টে থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত সভা করা যাবে। যেহেতু শুভেন্দু অধিকারী সভার প্রধান বক্তা তাই সেখানে নিরাপত্তার স্বার্থে সিআরপিএফ মোতায়েন করতে হবে। বিচারপতি আরও জানান, আগামী দিনে যেকোনও সভার জন্য ১৫ দিন আগে অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে হবে। আবেদন পাওয়ার চারদিনের মধ্যে পুলিশ সে ব্যাপারে মতামত জানাতে হবে।
কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি পাওয়ার পরেই বিজেপি সিমলাপালের সভার জন্য জোর প্রস্তুতি শুরু করে। সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত এদিন বলেন, পুলিশের কাজ বিজেপিকে আটকানো। বিজেপির কর্মসূচি দেখে আতঙ্কিত তৃণমূল। তাই সভার অনুমতি দেয়নি পুলিশ।
আগামী ১৪ মে পটাশপুর থানা এলাকায় বিজেপি মিছিল করার জন্য বিজেপি ৭ মে পুলিশের কাছে আবেদন করে। তখনও পুলিশ জানায়, এলাকাটি খুবই স্পর্শকাতর এবং জনবহুল। তাই মিছিলের অনুমতি দেওয়া যাবে না। তা নিয়েও বিজেপি আদালতে যায়। বিচারপতি মান্থা বলেন, জনবহুল এলাকা না হয় মেনে নেওয়া গেল। কিন্তু স্পর্শকাতর মানে কী? রাজ্য সরকারের তরফে অবশ্য তার কোনও স্পষ্ট জবাব দেওয়া হয়নি। এরপর রাজ্যের আইনজীবী বলেন, স্পর্শকাতর এলাকা বলেই আমরা সিআরপিএফের নিরাপত্তা চাইছি।
বিচারপতি বলেন, দুমাস আগে অনলাইনে আবেদন করার ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম। এখনও তা করে উঠতে পারেনি সরকার। তাঁর নির্দেশ, এগরা ও মেদিনীপুর হাসপাতাল এবং দমকল কেন্দ্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে মিছিলকারীদের। এছাড়া মিছিল করতে হবে শান্তিপূর্ণ ভাবে। পুলিশ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেবে। দরকার পড়লে রাজ্য সরকার সিআরপিএফ ডাকবে।