পুরুলিয়া: সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও পঞ্চেয়েত দখল করতে পারল না শাসকদল তৃণমূল। নিজেদের সমর্থনের সদস্যকে প্রধানের চেয়ারে বসাতে পারল না তৃণমূল। বোর্ড গঠনের দিনও শাসকদলের কোন্দল প্রকাশ্যে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তরজা।
পুরুলিয়া জেলার হুরা ব্লকের দলদলি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৪। শাসকের টিকিট বণ্টন নিয়ে দলের মধ্যে ছিল চরম কোন্দল। দল থেকে টিকিট না পেয়ে ৪ জন সদস্য নির্দলের হয়ে প্রার্থী হন। তাঁদের মধ্যে রয়েছে বিদায়ী উপপ্রধান রেজাউল করিম আনসারি সহ আরও ৩ জন। পরবর্তীকালে শাসকের বিরুদ্ধে এই ৪ জন নির্দল প্রার্থী হয়ে জয়ী হন। অন্যদিকে এই পঞ্চায়েত সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ১০টি আসন নিজেদের দখলে রাখে তৃণমূল। কিন্তু আজ বোর্ড গঠনের দিনই চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হল শাসকদলকে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সংঘর্ষে বাসন্তীতে মৃত তৃণমূল কর্মী
তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী ৪ জনকে সঙ্গে নিয়ে নির্দলরা গঠন করল বোর্ড। দলের মনোনীত সদস্যা অলোকা মাহাতকে সমর্থন না করে নির্দলদের সমর্থনে তৃণমূলের টিকিটে জিতে আসা আলোমানি মাহাত প্রধান পদে প্রার্থী হন। তাঁকে সমর্থন করে ৩ জন দলের প্রার্থী। ফলে হাত ছাড়া হয় দলদলী গ্রাম পঞ্চায়েত। এর জেরে ৮-৬ ভোটে হেরে যায় শাসকদলের মনোনীত প্রার্থী অলোকা মাহাত। প্রধান নির্বাচিত হন আলোমনি মাহাত। উপপ্রধান নির্বাচিত হন অবনী সোরেন।
উল্লেখ্য, এই পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১৪। তার মধ্যে শাসকদলের ১০টি ও নির্দল প্রার্থীরা ৪টি আসেন জয়ী হন। এই পঞ্চেয়েতে নির্বাচনে বিরোধী দলগুলি নির্দলদের সমর্থন করেন। ফলে লড়াই হয় নির্দলদের সঙ্গে তৃণমূলের। পুরুলিয়া জেলায় মোট ১৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। তারমধ্যে আজকে ৮৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয়।