কালিয়াচক: গোলাপগঞ্জে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন কংগ্রেসের।বিরোধী আসনে তৃণমূল।গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ২০ টি। কংগ্রেস ১০টি আসন, তৃণমূল ৫টি আসন, বিজেপি ৩টি ও নির্দল ২টি আসন দখল করে।শনিবার প্রধান নির্বাচনের সময় বিজেপি ও নির্দল পঞ্চায়েত সদস্যরা কংগ্রেসের তাহসিনা খাতুনকে সমর্থন করে। পাশাপাশি তৃণমূলের একটি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যও তাহসিনা খাতুনকে সমর্থন করে। ভোটাভুটিতে তাহসিনা খাতুনের সমর্থনে ভোট পড়ে ১৬টি। তাতে প্রধান নির্বাচিত হন তাহসিনা খাতুন এবং উপপ্রধান নির্বাচিত হন কংগ্রেস নেতা কৃষ্ণ মন্ডল।অন্যদিকে ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য নিয়ে বিরোধী থাকে তৃণমূল।
এদিন নবনির্বাচিত প্রধান বলেন, এলাকার বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে তা সেগুলো মেটানোর চেষ্টা করবো। পাশাপাশি সরকারি সুবিধা সকল জনসাধারণই যাতে পায় তার বন্দোবস্ত করবো।এলাকার কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলেও এলাকার কোনও উন্নয়ন হয়নি। সবক্ষেত্রে মানুষকে কাটমানি দিতে হয়েছে। তাই তৃণমূলকে মানুষ এলাকায় ভোটই দেয়নি। সাধারণ মানুষ জাতীয় কংগ্রেসকে ভরসা করেছে। মানুষ তাদের অধিকার ও সকল ধরনের সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবে। তার জন্য কাউকে কাটমানি দিতে হবে না।
আরও পড়ুন: জেলা সভাপতি পরিবর্তনের দাবিতে পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের
প্রসঙ্গত, বোর্ড গঠন নিয়ে জেলায় জেলায় বিভিন্ন চিত্র দেখা দিয়েছে। বহিরহাটে বিজেপির সমর্থনে সিপিআই পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করল। তেহট্ট পঞ্চায়েতেও জয়জয়কার বিরোধীদের। বিজেপি, সিপিআইএম ও কংগ্রেসের সমর্থনে প্রধান হলেন নির্দলের জয়ী সদস্য। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞায় বাম (CPIM), কংগ্রেস (Congress), বিজেপির (BJP) সহযোগিতায় পঞ্চায়েত সমিতি গঠন করল তৃণমূল (TMC)। এই ঘটনাকে ঘিরে ফের সামনে এল তৃণমূলের ঘরোয়া কাজিয়া। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে দল ঠিক করেছিল নাজমা সুলতানার নাম। কিন্তু দলেরই একাংশের বিরোধিতায় নাজমার সভাপতি হওয়া ভেস্তে গেল। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হলেন সুলতানা খাতুন নামে দলেরই এক সদস্য। তৃণমূলের ৬ ছন ছাড়াও সুলতানা খাতুন বাম, কংগ্রেস এবং বিজেপির ভোটও পেয়েছেন।