বসিরহাট: খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাতে সাজানো তৃণমূলের পঞ্চায়েত (Panchayat) দখল করল বিজেপি। শাসকদলের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূল ব্লক সভাপতি আমিরুল ইসলামের সন্ত্রাস, দাদাগিরি এবং একাধিক দুর্নীতির কারণেই এবার বোর্ড হাতছাড়া হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার ৯০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৮৯টি তৃণমূল দখল করলেও হাসনাবাদ পঞ্চায়েত শাসকদলের হাতছাড়া হয়েছে। সেই পঞ্চায়েতে ১৪টির মধ্যে নটি আসন পেয়ে বোর্ড গড়ল বিজেপি।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর হাসনাবাদ পঞ্চায়েতে চক খাঁপুকুর, দাসপাড়া, ট্যাংরামারি-সহ একাধিক গ্রামে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয়দের অভাব অভিযোগ শোনেন। চক খাঁপুকুর গ্রামে কচু ও ট্যাংরা মাছ খেয়ে তিনি প্রশংসা করেছিলেন গ্রামের মহিলাদের। সেখানে বসেই তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে এলাকার উন্নয়নের নির্দেশ দেন। সেইমতো কাজও হয়। চক খাঁপুকুর একটি মডেল গ্রাম হিসেবে গড়ে ওঠে। তারপরেও কী করে এই পঞ্চায়েত তৃণমূলের হাত থেকে চলে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আরও পড়ুন: আমার কোনও দোষ নেই, গ্রেফতারের আগে মাকে ফোন সৌরভের
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একটি বড় অংশের অভিযোগ, হাসনাবাদ ১ নম্বর ব্লক সভাপতি আমিরুল ইসলামের কার্যকলাপই এর জন্য দায়ী। এলাকার বাসিন্দারাও জানান, ওই নেতা রীতিমতো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন অনেক দিন ধরে। তাঁর বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের অভিযোগ রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের দিনও আমিরুলের দাদাগিরি চলেছে এলাকায়।এক আইনজীবীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ওই আইনজীবী বসিরহাট (Basirhat)মহকুমা আদালতে আমিরুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। তৃণমূল নেতারা জানান, এসব ঘটনা গ্রামের মানুষ মেনে নিতে পারেনি। তারই খেসারত দিতে হয়েছে এই পঞ্চায়েতে। আমিরুল অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, এটা এসব বিরোধীদের অপপ্রচার। যা বলার, দলকে বলব।