পূর্ব বর্ধমান: কথায় আছে ১২ মাসে ১৩ পার্বন! সামনেই রাখি উৎসব। গোটা দেশেই রাখি উৎসবকে (Raksha Bandhan 2023) অন্যতম পবিত্র উৎসব হিসাবে মানা হয়। রাখি বন্ধন উপলক্ষে জেলায় জেলায় চলছে রাখি তৈরির কাজ। আর এবারের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রাখি দিবসে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার রাখি তৈরির বরাত পেল কালনার উইভার্স আর্টিজেন্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। রাজ্য সরকারের যুব কল্যান দফতরের তরফ থেকে এই বরাত দেওয়া হয়েছে। দিনরাত এক করে চলছে রাখি তৈরির কাজ। রাখির বরাত পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি কালনার রাখি শিল্পীরা।
রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকারের পক্ষ থেকে রাখি উৎসব পালন করা হয়। এই রাখি উৎসবে প্রয়োজন হয় প্রচুর পরিমাণ রাখির।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুব কল্যাণ দফতরের তরফ থেকে এই বরাত দেওয়া হয় রাখি শিল্পীদের। কালনা মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিভিন্ন বাড়িতে সারা বছর ধরে রাখি তৈরি করেন রাখি শিল্পীরা। এই রাখি তৈরি কাজের সঙ্গে প্রায় দশ হাজার মহিলা জড়িত রয়েছেন। শিল্পীদের রাখি বিভিন্ন সোসাইটির মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করা হয়।
আরও পড়ুন:কিছু আইন সম্পর্কে প্রতিটি ভারতীয় সচেতন থাকুক এই স্বাধীনতা দিবসে
এ রকমই এক সোসাইটি যার নাম উইভার্স আর্টিজেন্ট ওয়েলফার সোসাইটি। কালনার সব থেকে বড় রাখি তৈরির সংস্থা। এই সংস্থাকে যুব কল্যাণ দফতর এ বছর ৬ লক্ষ ৫০ হাজার জয় বাংলা রাখি তৈরির বরাত দেওয়াতে যেমন খুশি হয়েছেন সোসাইটির কর্মীরা, তেমনি খুশি রাখি তৈরির শিল্পীরা। এবছর ৩১ অগাস্ট রাখি পূর্ণিমা। ২৮ অগাস্টের মধ্যে এই রাখি কলকাতায় পৌঁছতে হবে। আর তাই দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে কাজ করছে শিল্পীরা।কারণ, সরকারের এই রাখি তৈরি করে মজুরি অনেকটাই বেশি পেয়ে থাকেন তাঁরা। আর তাই প্রতিবছর এই সমস্ত শিল্পীরা তাকিয়ে থাকেন রাজ্য সরকারের দিকে।
রাখির বরাত কিভাবে পাওয়া যায়? রাখি তৈরি করে যুব কল্যাণ দফতরে স্যাম্পেল পাঠাতে হবে। তারপরই তারা সিলেকশন করে কোন রাখিটা কোন সংস্থাকে দিয়ে তৈরি করা হবে। প্রতি বছরই কালনার এই সংস্থাটি এই বরাত পেয়ে থাকে। কারণ এই সংস্থাটির সঙ্গে যে সমস্ত রাখি শিল্পীরা জড়িত তাঁরা প্রত্যেকেই ভালো রাখি তৈরি করেন।