আসানসোল: এবার রেশন দোকানে গরমিলের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিল জেলা প্রশাসনের রেশন দফতর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসানসোল জুড়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এর জেরে রেশনের দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ গ্রাহকেরা।
ফের গরমিলের অভিযোগ। সিল করে দেওয়া হল তৃণমূল কাউন্সিলরের রেশনের দোকান। আসানসোল পুরসভার ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মহম্মদ সেলিম আখতারের রেশন দোকানে ব্যপক গরমিলের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার আচমকাই অভিযান চালায় পশ্চিম বর্ধমান জেলা খাদ্য বণ্টন দফতর। অভিযান চলাকালীন বেশকিছু গরমিলের সন্ধান পান তাঁরা। এরপরেই রেশন দোকানটি সিল করে দেওয়া হয়। পাশাপশি সাসপেন্ড করা হয় রেশন দোকানের মালিক তথা তৃণমূল কাউন্সিলর মহম্মদ সেলিম আখতারকে। এর আগেও এই রেশন দোকানের বিরুদ্ধে গরমিলের অভিযোগ পেয়ে জরিমানা করা হয় বলে জানা যায়। এরপরেও ওই রেশন দোকানের মালিক নিজেকে সংশোধন করেননি। যার ফলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হল খাদ্য দফতরকে।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে উত্তপ্ত নন্দকুমার
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের সবাই চোর। কেন্দ্রের পাঠানো চাল, গম লোপাট করে দিচ্ছেন খোদ তৃণমূলের কাউন্সিলর। যদিও বিজেপির এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসানসোল পুরসভার ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমূল হক বলেন, বিরোধীদের কাজ হচ্ছে সমালোচনা করা। তৃণমূলে থাকলেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলা হচ্ছে। আর যখনই তারা বিজেপিতে যাচ্ছেন, তখনই তারা ওয়াশিং মেশিনে ধোওয়া হয়ে যায়। অন্যদিকে রেশন দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে সমস্যায় পড়েছে সাধারণ গ্রাহকরা। তাদের দাবি, যত শীঘ্রই রেশন দোকান খুলে দিলে তাঁরা খেয়ে পড়ে বাঁচবে।