কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: সদ্য প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে বহু বিল দীর্ঘদিন ধরে আটকে ছিল বলে শাসকদলের অভিযোগ ছিল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যপাল ইচ্ছে করে বহু বিল আটকে রেখেছেন। তার জন্যই সব পুরসভার সঙ্গে হাওড়া পুর নিগমের ভোট করা যায়নি। একই অভিযোগ ছিল বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। এই ইস্যুতে তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রীরা রাজ্যপালকে বিভিন্ন সময়ে কড়া ভাষায় বিঁধেছেন। ধনখড় রাজভবন ছাড়তেই সেখানে আটকে থাকা বিলগুলি ছাড়ার ব্যাপারে এবার রাজভবনের দ্বারস্থ শাসকদল।
ধনখড় রাজভবন ছাড়ায় স্বস্তি পেয়েছে শাসকদল। তবে তাঁর উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়া নিয়ে শাসকদল এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। দলনেত্রীর নির্দেশে কারও এ ব্যাপারে মুখ খোলা নিষেধ। বলা হয়েছে, ২১ জুলাই দলীয় সাংসদদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকেই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে দল তার কৌশল ঠিক করবে। যা বলার, সেই বৈঠকের পর বলা হবে।
আরও পড়ুন: Haryana DSP Killed: ছুটিতে ঘরে ফেরার কথা ছিল সুরেন্দ্রর, তার আগেই এল মৃত্যুর খবর
প্রাক্তন রাজ্যপাল ধনখড়ের কাছে আটকে ছিল হাওড়া পুর বিল। এমনটাই দাবি শাসকদলের। তার জন্য প্রায় আড়াই বছর ধরে পুর নিগমের ভোট করা যাচ্ছে না। যদিও রাজভবন থেকে বিল আটকে থাকার অভিযোগ অস্বীকার করা হচ্ছিল। সোমাবার অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে শপথ নেন মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার আরও কয়েকজন সদস্য। সূত্রের খবর, রাজভবনে চা চক্রের ফাঁকেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নতুন রাজ্যপালের কথা হয় বিলগুলি নিয়ে। ইতিমধ্যে হাওড়া পুর নিগমের আইনি জট কাটিয়ে কীভাবে দ্রুত নির্বাচন করা যায়, তা নিয়ে নবান্ন চিন্তাভাবনা করছে।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: আদালতে সম্পত্তির হলফনামা দিতে পারলেন না প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি
সম্প্রতি রাজ্যপালকে সরকারি বেসরকারি সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আচার্য পদ থেকে সরানোর জন্য সরকার বিধানসভায় অন্তত ৩০ টি বিল আনে। সেগুলি পাশও করানো হয়। কিন্তু ওই বিলগুলি ধনখড় ছেড়ে যাননি। তিনি বলেন, সব বিল খুঁটিয়ে দেখবেন তিনি। কিন্তু খুঁটিয়ে দেখার আগেই তাঁকে রাজভবন ছেড়ে দিতে হল। এই বিলগুলি যাতে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হয়, তার জন্য শাসকদল নতুন রাজ্যপালের কাছে দরবার করবে বলে নবান্ন সূত্রের খবর। রাজ্য সরকারের অভিযোগ ছিল, শিক্ষার ক্ষেত্রে ধনখড় অযাচিত হস্তক্ষেপ করছিলেন। তার জন্যই তাঁকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার লক্ষ্যেই বিলগুলি আনা হয়েছিল।