কলকাতা: বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) প্রত্যেকের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। সারাক্ষণের টেনশন কমাতে আর বন্ধুবান্ধব-পরিচিতদের জগতে একটু চোখ রাখতে এখন আমাদের একমাত্র ভরসা ইন্টারনেট (Internet)। ফলে দিনের অনেকটা সময়ই চলে যায় মোবাইলের স্ক্রিনে স্ক্রোল করতে করতে, জীবনটা যে কখন সম্পূর্ণভাবে সোশাল মিডিয়া নির্ভর হয়ে পড়ে তা আমরা বুঝতেও পারি না। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার অত্যধিক ব্যবহার মানসিক স্বাস্থ্য, কাজের প্রতি মনযোগ এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। আর তাই সব কিছুর মধ্যে একটা সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখা প্রয়োজন। জেনে নিন কীভাবে আপনি নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে রাখবেন-
১) নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন কেন আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে থাকতে চান? এটি থেকে আপনি কী লাভ করতে চান? আপনি কি অনুপ্রেরণা খুঁজছেন, নাকি কেবল বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছেন? নাকি একটি পেশাদার নেটওয়ার্ক তৈরি করছেন? যখন আপনার একটি সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য থাকে, তখন সচেতনভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা সহজ হয়ে যায়। অকারণে স্ক্রোলিং এড়ানো যায়৷
২) সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম প্রধান সমস্যা হল স্ক্রোলিং করতে থাকা। কতটা সময় ব্যবহার করবেন তা আগে নির্দিষ্ট করুণ। নিজের জন্য একটি সময়সীমা তৈরি করে নিন। আপনি প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে কতটা সময় বরাদ্দ করতে পারেন তা নির্ধারণ করুন। স্মার্টফোন অনেক ফিচার আছে যা ব্যবহার করে অ্যাপ টাইমার সেট করা যায়। নির্দিষ্ট সময় সীমায় অতিক্রম করলে এটি আপনাকে রিমাইন্ডার দেবে।
৩) সারাক্ষন ধরে ইনবক্সে কে কী ম্যাসেজ করছে বা কে কী আপলোড করছে সেই চিন্তা বাদ দিতে হবে। পাশাপাশি কিছুক্ষণ ছাড়া স্যোশাল মিডিয়া চেক করা বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন:Offbeat Destination | সস্তায় ঘুরে আসুন দিঘার সুন্দরবন থেকে, রয়েছে ম্যানগ্রোফও
৪) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের এমন অনেক বিষয় আছে যা নেতিবাচক আত্ম-ধারণা ও বাস্তবতার বিকৃত দৃষ্টিভঙ্গির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই আপনাকে অনুপ্রাণিত করে এবং আপনার উন্নতিতে সাহায্য করে এমন বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত করুন।
৫) একটি স্বাস্থ্যকর ভারসাম্য বজায় রাখতে, দিনের নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট করুন যখন আপনি সামাজিক মাধ্যমের থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকতে পারবেন। আপনি এই সময়টি বই পড়া, বাইরে সময় কাটানো বা প্রিয়জনের সঙ্গে গল্প করা ইত্যাদি করতে পারেন।
৬) বাস্তব জীবনে যে সম্পর্কগুলো আছে সেগুলোতে মনোযোগ দিন। আত্মীয় পরিজনকে সময় দিন, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নমূলক বিষয়ে মনোযোগ দিন ও পরিবারের নিকটবর্তী থাকুন।
৭) যেখানেই যাচ্ছেন, সেখান থেকে একটি লাইভ প্রচার করা থেকে বিরত থাকুন। সবকিছুতে নিজেকে বাস্তব থেকে ভার্চুয়ালে নেয়া থেকে বিরত থাকুন। অন্যদের পর্যবেক্ষণ করুন। পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে মনোযোগ দিন।
৮) লক্ষ করুন কোন কোন বিষয়ে আপনি নিজেকে সামাজিক মাধ্যমে যুক্ত করেছেন। তার অধিকাংশই বন্ধ করে দিন। নিজেকে লাইক শেয়ার কমেন্ট কাউন্ট করা থেকে বিরত রাখুন। এবং বিশেষভাবে গেমসগুলো থেকে নিজেকে আনসাবসক্রাইব করুন।