সদ্য শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে জেলার সিংহভাগ চা শ্রমিক মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় আলিপুরদুয়ারের ৫টি আসনেই বিজেপির কাছে পরাজিত হয় তৃণমূল। অথচ ওই রাজনৈতিক বিপর্যয়ের পরেও ফের চা শ্রমিকদের পাশে থাকার বার্তা দিল নতুন রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে অতিরিক্ত শ্রম কমিশনারের দফতরে হওয়া ম্যারাথন ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পর কেটে যায় জটিলতা। পুরোনো মালিকের পরিচালনাতেই বুধবার থেকে দীর্ঘ দেড় বছর পর খুলে যাচ্ছে কালচিনি চা বলয়ের ভুটান লাগোয়া তোর্সা চা বাগান। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে বোনাসকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল চা বাগানটি। ফের বাগান খোলার খবরে কাজ ফিরে পেতে চলেছেন প্রায় ৮০০ চা শ্রমিক। করোনার আবহে প্রচন্ড অভাবের তাড়নায় যখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল চা শ্রমিকদের ভবিষ্যত, ঠিক তখন এই খুশির খবরে অনেকটাই স্বস্তিতে তোর্সা চা বাগানের শ্রমিকরা। দ্বিতীয় বার তৃণমূল সরকার রাজ্যে ক্ষমতাসীন হওয়ার সময় জেলার ৬৭টি চা বাগানের মধ্যে ১১টি চা বাগান বন্ধ ছিল। নতুন করে তোর্সা চা বাগান ফের সচল হওয়ার পর জেলায় এখন বন্ধ চা বাগানের সংখ্যা কমে দাঁড়ালো মাত্র ৩টিতে। আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা, তৃণমূল ও বিজেপি প্রভাবিত চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার শিলিগুড়ির ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন রাজ্যের অতিরিক্ত শ্রম কমিশনার মহম্মদ রিজুয়ান। শ্রমিক পক্ষের দাবি মেনে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, বাগান খোলার ৩ দিনের মধ্যে মেটানো হবে বকেয়া বেতন। দেওয়া হবে ২০১৯-২০ সালের ১২ শতাংশ হারে বোনাস। দেওয়া হবে সালছুটির টাকা। নিয়ম মেনে জমা করা হবে শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা।