কলকাতা: পরীক্ষা শেষ৷ সেই আনন্দে বন্ধুর সঙ্গে গঙ্গায় স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেল ছাত্র৷ নিখোঁজ বন্ধুও৷ বুধবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বাজা কদমতলার ঘাটে৷ নিখোঁজ দুই ছাত্রের নাম মহম্মদ বিলাল এবং মহম্মদ ইফরাফ৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ছয়জন বন্ধু এদিন ঘাটে এসেছিল৷ তাদের মধ্যে দু’জন জলে নামে৷ গঙ্গায় নামার পরই তলিয়ে যায় ওই দু’জন৷ এখনও তাদের দেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ গঙ্গায় তল্লাশি চালাচ্ছে জল পুলিস৷ নামানো হয়েছে ডুবুরি৷
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মহম্মদ বিলালের এদিন পরীক্ষা শেষ হয়৷ তারপরই বন্ধুকে নিয়ে সটান চলে যায় বাঁজা কদমতলার গঙ্গায়৷ এর কয়েকঘণ্টা পরই দুই বাড়িতে ফোন করে দুর্ঘটনার খবর দেয় উত্তর বন্দর থানার পুলিস৷ বিলালের বাড়ি তপসিয়া থানা এলাকায়৷ বোনের বিয়ে উপলক্ষে আগামিকাল তার বিহার যাওয়ার কথা ছিল৷ দু’সপ্তাহ পর বোনের বিয়ে৷ মেয়ের বিয়ের জন্য বাবা-মা আগেই বিহার চলে যান৷ পরীক্ষার জন্য কলকাতায় ছিল বিলাল৷ ছেলের নিখোঁজের খবরে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷
অন্যদিকে শেওড়াফুলির ছাতুগঞ্জে গঙ্গার ঘাটে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যায় তিন শ্রমিক৷ একজনকে বাঁচানো গেলেও বাকি দু’জন নিখোঁজ৷ খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছায় ঘাটে। লঞ্চ দিয়ে তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়৷ নাসিমা খাতুন নামে প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমরা চারজন তখন স্নান করছিলাম৷ সেই সময় তিন যুবক জলে নামে৷ হঠাৎই তাঁদের ডুবে যেতে দেখি৷ একজন হাত তুলে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করতে থাকে৷ তখন আমার ওড়নাটা ছুঁড়ে দিই৷ একজন সেটা ধরে উঠে আসে৷ সে সময় ঘাটের আশেপাশে আর কেউ ছিল না৷’ এ দিকে বেঁচে ফিরে লখিন্দর নামে ওই যুবক জানান, স্নান করার সময় পা পিছলে গিয়েছিল প্রদীপের৷ ওকে বাঁচাতে গিয়েই আমরা জলে হাবুডুবু খেতে থাকি৷ ওড়না ধরে আমি কোনওরকমে প্রাণে বাঁচি৷
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ‘ফিরে যান’, তালড্যাংরায় শুভেন্দুকে ঘিরে বিক্ষোভ নির্যাতিতার পরিবারের