আজ সোমবার থেকে সংসদে শুরু বাদল অধিবেশন। চলবে ১১ অগস্ট পর্যন্ত। অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, কৃষক আন্দোলন-সহ একগুচ্ছ বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে চেপে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিরোধী শিবির। অন্যদিকে, তেমনই কৃষি আইন প্রত্যাহার, পেট্রোপন্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে অধিবেশনের দুই কক্ষেই সরব হবে বলে তৃণমূল। দলীয় সূত্রে খবর, পেট্রোপণ্যের মৃল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এক অভিনব প্রতিবাদে সামিল হবেন তৃণমূল সাংসদেরা। রীতিমতো সাইকেল চালিয়ে সংসদে প্রবেশ করতে দেখা যেতে পারে তাঁদের।
বাদল অধিবেশনের আগে রবিবার প্রথা মেনে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। বৈঠকে বিজেপির পীযূষ গোয়েল, রাজনাথ সিং’দের পরে তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীরা আসেন৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আস্থাভোটে জয়, নেপালের নয়া প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা
সর্বদলীয় বৈঠকের আগে বিভিন্ন ইস্যুতে একাধিক ট্যুইট করে কেন্দ্রীয় সরকারকে ইতিমধ্যেই আগাম ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। অধিবেশনে যাতে প্রতিটি বিল খতিয়ে দেখা হয় এমনটাই দাবি জানান তিনি। সেই সঙ্গে কোনও কিছু যাতে জোর করে চাপিয়ে দেওয়া না হয়, তা নিয়েও সুর চড়ান ডেরেক।
করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে মোদি সরকার? কেমন রয়েছে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা? ভ্যাকসিন উৎপাদন প্রক্রিয়া কোথায় দাঁড়িয়ে? এই সব কিছু নিয়েই সংসদে সরব হতে চলেছে তৃণমূল। এছাড়াও, দলীয় সূত্রে খবর, বিভিন্ন রাষ্ট্রায়াত্ত্ব সংস্থার বেসরকারিকরণ এবং রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের বিষয়ের আপত্তি জানিয়ে আলোচনার দাবি তুলবেন তৃণমূল সাংসদরা।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের উৎসাহ ভাতায় বদলাচ্ছে দেশের সংস্কৃতি: পূর্ণেন্দু বসু
এদিকে, বাদল অধিবেশন চলাকালীন ২৫ থেকে ৩০ জুলাই দিল্লিতেই থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসময়ে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও দেখা করতে পারেন।