সব জল্পনার অবসান। অবশেষে আস্থাভোটে জয়ী হলেন নেপালের নয়া প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা। রবিবার নেপালি পার্লামেন্টের ২৭৫ টি আসনের মধ্যে ১৬৫ আসনের সমর্থন পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী দিউবা। আগামী মঙ্গলবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন শের বাহাদুর দেউবা।
করোনা পরিস্থিতিতে বিগত কয়েক মাস ধরেই টালমাটাল ছিল নেপালের রাজনৈতিক অবস্থা। ক্ষমতায় এলে রাজনৈতিকভাবে দেশকে স্থিতিশীল করা অন্যতম লক্ষ্য বলে জানিয়েছিলেন নয়া নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মোবাইলে আড়ি এক সাংবিধানিক প্রধানের, দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর, বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অলির পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন দেউবা। কিন্তু তার জন্য তাঁকে আস্থা ভোটের মাধ্যমে বৈধতা প্রমাণ করতে হত। নেপালি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আস্থা ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। নেপালি সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী পদে স্থলাভিষিক্ত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে আস্থাভোট করতে হয়। তবে এদিনের ভোটে নিজের দলের সমর্থন ছাড়াও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ওলির দলের অনেক সাংসদই তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন। এই সমর্থন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে দেউবার পথকে মসৃণ করে তোলে। তবে দেউবা আস্থা ভোটে পরাজিত হলে ফের সাধারণ নির্বাচনের পথেই হাঁটতে হত হিমালয়ের দেশটিকে। যদি সেই সম্ভাবনা আর নেই।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর প্রাক্তন দেহরক্ষী মৃত্যু তদন্তে আটক ১
এই প্রথম নয়, এর আগে মোট চারবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন শের বাহাদুর দেউবা। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত একাধিকবার নেপালের মসনদে বসেন ভারত বন্ধু হিসেবে পরিচিত দেউবা। অতীতে একাধিকবার ভারত সফরে এসেছেন। মনমোহন সিংহের সময় আবার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সময়েও ভারত সফরে এসেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য ভারত চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েনে গত বছরেই বেকায়দায় পড়তে হয়েছিল নেপালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিকে। তাঁর ভারত বিরোধীতা প্রকাশ্যে আসতেই নিজের দলেই ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। যার জেরে পদচ্যুত হতে হয় তাঁকে। সেই সংঘাত অব্যাহত আজও।
ভারত বন্ধু হিসেবে পরিচিত শের বাহাদুর দেউবা ভারতের জন্য কতটা ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেন এখন সেটাই দেখার।