এবারও পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসকদলের জয়ের ধারা অব্যাহত। বুধবার রাত পর্যন্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী গ্রাম পঞ্চায়েতে ৬২৩৮টি আসনে তৃণমূল বিনা লড়াইয়ে জয়ী হয়েছে। তার মধ্যে অনুব্রতহীন বীরভূম জেলায় জয়ীর সংখ্যা বেশি। পঞ্চায়েত সমিতির ১২৮টি এবং জেলা পরিষদের আটটি আসনে বিনা লড়াইয়ে জিতেছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত সমিতিতেও বীরভূম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে। জেলা পরিষদের আসন তৃণমূল বিনা ভোটে উত্তর দিনাজপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনায় তিনটি করে, কোচবিহার এবং বীরভূমে একটি করে জিতে নিয়েছে শাসকদল।
এদিন রাত পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া যায়নি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কে কত আসনে জিতল। গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি দুটি আসনে সিপিএমও বিনা লড়াইয়ে জিতেছে। বস্তুত মনোনয়ন পর্ব শেষ হতেই কয়েকটি জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের জন্য শাসকদলের নেতা, কর্মীরা বিজয় মিছিলও বার করে ফেলেছে, সবুজ আবির খেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | পঞ্চায়েত ভোটে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ নিয়ে কুণালের মন্তব্য
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে তিনটি স্তরে প্রায় ৩৪ শতাংশের বেশি আসনে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। তা নিয়ে ব্যাপক চর্চাও চলে রাজনৈতিক মহলে। বাম আমলে যে বিনা লড়াইয়ের নজির ছিল না, এমন নয়। তবে তা সর্বোচ্চ ১১ শতাংশের বেশি হয়নি। ২০০৩ সালে এই ১১ শতাংশ হয়েছিল। এবার সেই হার কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা দুই একদিনের মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যাবে। এবারও বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। তারপর মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য গা জোয়ারি হয়েছে। বিরোধী প্রার্থীদের কারও কারও বাড়িতে সাদা থান আর ফুলের মালা পাঠিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে বাম জমানার মতোই। অনেক প্রার্থী আদালতে গিয়েছেন। এদিনই কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেছেন, একটা পঞ্চায়েত নির্বাচনে যদি এত রক্তপাত, হিংসা, মনোনয়নে বাধার ঘটনা ঘটে, তবে সেই নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এটা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার বিষয়।