কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি মিলল মালয়ালম নিউজ চ্যানেল মিডিয়া ওয়ান-এর (Media One Channel)। নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার (Union Government) এই চ্যানেলটির সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছিল। সংস্থা তা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। কেরল হাইকোর্ট কেন্দ্রের ঘোষণাকেই বহাল রাখে। চ্যানেলটি কেরল হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court) কেন্দ্রের ওই নিষেধাজ্ঞার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সংশ্লিষ্ট চ্যানেলটির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছিল, সেই সংক্রান্ত ফাইল খতিয়ে দেখে শীর্ষ আদালত। তারপরই স্থগিতাদেশ জারির কথা ঘোষণা করে তিন বিচারপতির বেঞ্চ।
আদালতের বক্তব্য, সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখে তাদের মনে হয়েছে, চ্যানেলটিকে (Malayalam News Channel) অন্তর্বর্তী ছাড় দেওয়া যেতেই পারে। এখন থেকে চ্যানেলটি আগের মতোই তাদের সম্প্রচার চালিয়ে যেতে পারবে।
দক্ষিণ ভারতের এই চ্যানেলটি (Supreme Court stays ban on Media One Channel) কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির কড়া সমালোচনা করে থাকে। অভিযোগ, জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চ্যানেলটির সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। তারা কেরল হাইকোর্টে দরবার করেছিল। কিন্তু সেখানে তারা সুবিচার পায়নি বলে দাবি চ্যানেল সংস্থার। কেরল হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞাকেই বহাল রাখে। তাকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল সংস্থাটি। প্রবীণ আইনজীবী দুষ্যন্ত দাভে সংস্থার পক্ষে সওয়াল করেন।
আরও পড়ুন: The Kashmir Files: সত্য ঘটনা সামনে এল, কাশ্মীর ফাইলসের প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী
আইনজীবী দুষ্যন্ত দাভে জানান, লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের সময় সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স বাধ্যতামূলক নয়। এই চ্যানেলটি গত ১১ বছর ধরে চলছে। কখনওই জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে এই চ্যানেলটির বিরুদ্ধ কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। হঠাৎ কেন এই প্রশ্ন উঠল, বোঝা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, যে যুক্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার চ্যানেলটি সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে, তা মানতে হলে কোনও মিডিয়া চ্যানেলই নিরাপদে কাজ করতে পারবে না।
ওই চ্যানেলটি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের যাবতীয় ফাইল কেন প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না বা চ্যানেলকে দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজুকে বিচারপতি বলেন, ওই সংস্থাকে সবকিছু জানানো উচিত, যাতে তারা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পায়। এটি একটি নিউজ চ্যানেল। কেন্দ্র তাদের ব্যবসা করতে বাধা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: Kunal-Adhir: ঝালদা নিয়ে রাজ্যকে বদনাম করতে ঘৃণ্য রাজনীতি করছেন অধীর, কটাক্ষ কুণালের