হাসনাবাদ: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা-গাফিলতির তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে লালবাজার৷ বুধবার সিটের প্রতিনিধিরা হাসনাবাদে হাফিজুলের বাড়িতে আসে৷ বছর ৩০-এর হাফিজুলই সেদিন রাতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিসকর্মীদের চোখে ফাঁকি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল৷ যদিও পরেরদিন সকালে সে ধরা পড়ে যায়৷ বর্তমানে সে সাতদিনের পুলিসি হেফাজতে রয়েছে৷ তাঁকে দফায় দফায় জেরা করার পাশাপাশি বুধবার হাফিজুলের বাড়িতে যায় সিটের আধিকারিকরা৷ তাঁরা হাফিজুলের বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন৷
পরিবারের দাবি, ৩০ বছরের হাফিজুল মানসিক ভারসাম্যহীন৷ এর আগে একবার সে নবান্নে পৌঁছে গিয়েছিল৷ যদি মানসিক ভারসাম্যহীনই হবে তাহলে বারবার সে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছতে চাইছে সে প্রশ্ন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের৷ বসিরহাটের হাসনাবাদ থানার আশারিয়া নারায়ণপুর গ্রামে বাড়ি হাফিজুলের৷ বাড়িতে ২২ বছরের স্ত্রী জেসমিনা বিবি, চারবছরের শিশুকন্যাও আছে তাঁর৷ এছাড়া আছে মা সেলিমা বিবি, বাবা মইনুল মোল্লা এবং এক দাদা৷ হাফিজুলের বাবা চাষবাসের কাজ করেন৷ দাদা করেন পাইলিংয়ের কাজ৷ হাফিজুল নিজে পেশায় একজন গাড়িচালক৷
এদিন কলকাতা থেকে ১০-১২ জনের একটি তদন্তকারী দল বিকেল পাঁচটা নাগাদ হাফিজুলের বাড়িতে পৌঁছয়৷ সেখানে তাঁর স্ত্রী, বাবা, মা ও দাদার সঙ্গে কথা বলেন এবং প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করেন৷ তদন্তকারীদের কাছেও পরিবার হাফিজুলের মানসিক সমস্যার কথা তুলে ধরে৷ জানায়, এর আগেও সে একবার নবান্নতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল৷ কিন্তু স্থানীয় থানার পুলিস আটকে দিয়েছিল৷ স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, মানসিক সমস্যা থাকলে সে গাড়ি চালায় কী করে? বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলে সিটের তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সাতদিন আগে কলকাতায় কাপড় বোঝাই ভাড়া গাড়ি চালাতে গিয়েছিল হাফিজুল৷ তারপর থেকে হাফিজুলের কোনও খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার৷ এরপর কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়ার খবর পান তাঁরা৷
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা-গাফিলতির জের? সরানো হল বিবেক সহায়কে