কিভ: রাশিয়ার পাখির চোখ এখন ইউক্রেনের (Ukraine) রাজধানী শহর কিভ (Kyiv)। যে কোনও মূল্যে কিভের দখল নিতে মরিয়া পুতিন বাহিনী। সমর বিশেষজ্ঞদেরও ধারণা, কিভ (Kyiv) দখলে না-নেওয়া পর্যন্ত ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) বিরত করা মুশকিল (Russia-Ukraine crisis)। রুশ সেনার গতিবিধি দেখেও তাঁরা বলছেন, মিশন কিভই (Ukraine’s Kyiv) পরবর্তী লক্ষ্য ক্রেমলিনের। তিন দিন হয়ে গেল কিভ শহরকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলেছে রুশসেনা। মধ্য কিভ থেকে আর মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে পুতিনের সেনা। এমত অবস্থায় আরও জোরদার সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে ইউক্রেন। গত দু-তিন ধরেই রুশ রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র বিক্ষিপ্ত ভাবে আঘাত হানছে শহরের যত্রতত্র। দাউদাউ করে জ্বলছে শহর। রুশসেনার ভাবগতিক দেখেই ইউক্রেনের ধারণা, কিভে মরিয়া কামড় দেওয়ার চেষ্টা করবেন পুতিন।সেই আশঙ্কা থেকে রাজধানীর মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে কারফিউ ঘোষণা হল কিভে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ইউক্র্নের সময় রাত ৮টা থেকে (ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ১১টা) কারফিউ জারি হচ্ছে। আগামী ৩৬ ঘণ্টা এই কারফিউ বলবত্ থাকবে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া রাজধানীবাসীকে বাড়ির বাইরে বেরোতে বারণ করা হয়েছে। কিভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকোর এই ঘোষণার পরেই রাশিয়ার তরফে জোরদার হামলার আশঙ্কা করছেন। কিভের মেয়েরও তা গোপন করেননি।
তবে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অনমনীয়। রুশসেনা কিভের উপকণ্ঠে পৌঁছে গেলেও জেলেনস্কি দাবি করেছেন, কিভ দখল রাশিয়ার পক্ষে এত সহজ হবে না। সহজ যে হবে না, তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছে রাশিয়াও। ইউক্রেনীয় সেনার প্রতিরোধ শুধু নয়, জেলেনস্কির দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্ঘবদ্ধ প্রতিরোধের মুখেও পড়তে হচ্ছে পুতিন বাহিনীকে। ফলে, ইউক্রেনকে যতটা সহজে রাশিয়া ধরাশায়ী করবে বলে ভেবেছিল, কার্যক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন The Kashmir Files: সত্য ঘটনা সামনে এল, কাশ্মীর ফাইলসের প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী
এ দিকে, ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এখন যে ভাবে চলছে, তাতে বড়জোর আর ১০-১৪ দিন লড়াই চালিয়ে যেতে পারে রাশিয়া। এ পর্যন্ত ইউক্রেনের যে ক’টি অঞ্চলের দখল রাশিয়া নিয়েছে, তা ধরে রাখাও রুশসেনার পক্ষে চাপের হবে।
আরও পড়ুন Media One Channel: মিডিয়া ওয়ানের সম্প্রচার-নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ…
ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রক মঙ্গলবার জানিয়েছেন, গত ২০ দিন ধরে চলা একটানা যুদ্ধে সাড়ে ১৩ হাজার রুশসেনা নিহত হয়েছেন। ধ্বংস করা হয়েছে ৪০৪টি রুশ ট্যাঙ্ক। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৮১টি যুদ্ধবিমান, ৯৫টি হেলিকপ্টার। ইউক্রেনের বিমান বিধ্বংসী প্রতিরোধ ব্যবস্থার তারিফ শোনা গিয়েছে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মুখে।