কলকাতা: সেনার গুলিতে ১৪ নিরীহ গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ নাগাল্যান্ড। রবিবার রাতে অসম রাইফেলসের ক্যাম্পে গ্রামবাসীরা ফের হামলা চালানোর পরেই মন জেলার ওটিং গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। এই অবস্থায় নাগাল্যান্ডে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করল তৃণমূল কংগ্রেস।
রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবের নেতৃত্বে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দলের সোমবার নাগাল্যান্ডের ওটিং গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল। নিরীহ নিহতদের স্বজনদের পাশে দাঁড়িতেই নাগাল্যান্ডে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সফর বাতিল করা হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, তাদের প্রতিনিধি দল নাগাল্যান্ডে গেলে ১৪৪ ধারার কারণে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হতে পারে। সেই কারণে দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছেও তাঁরা ফিরে আসেন। সুস্মিতা দেব ছাড়াও প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার, শান্তনু সেন এবং ত্রিপুরা তৃণমূলের মুখপাত্র বিশ্বজিৎ দেব।
নাগাল্যান্ডের ঘটনায় রবিবার রাতেই টুইট করে দুঃখপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা লেখেন, ‘নাগাল্যান্ড থেকে খুব খারাপ খবর এসেছে। শোকাহত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা রইল। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’ ঘটনার তদন্তও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার রাতেই তৃণমূল সুপ্রিমো নাগাল্যান্ডে প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল
আরও পড়ুন : Nagaland firing: আধাসামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে এফআইআর নাগাল্যান্ড পুলিসের
নাগাল্যান্ড ঘটনায় ক্রমশই পারদ চড়ছে। নাগাল্যান্ডের মন শহরের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি৷ ৪ ডিসেম্বর সেনার গুলিতে ১৪ জন নিহতের ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ৷ ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার৷ অসম সীমান্তবর্তী নাগাল্যান্ডের মন জেলায় কয়লাখনিতে কাজ করে ভ্যানে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন শ্রমিকরা৷ ওই ভ্যানের উপর গুলি চালায় সেনাবাহিনী৷ ঘটনাস্থলেই সাত জনের মৃত্যু হয়৷ খবর পেয়ে উত্তেজিত জনতা সেখানে পৌঁছে সেনার উপর হামলা করে৷ গ্রামবাসীরা এক জওয়ানকে ঘিরে ফেলে৷ কিন্তু সেই জওয়ানের গুলিতে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়৷ তাঁকেও পিটিয়ে মারে গ্রামবাসীরা৷ রবিবারই জেলায় কারফিউ জারি করা হয়েছে৷ উত্তেজনা এড়াতে ইন্টারনেট, এসএমএস পরিষেবা বন্ধ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। গুলিকান্ডে উত্তাল সংসদ। দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি সভা। আজ সংসদের দুই কক্ষে বিবৃতি বিবৃতি দেবেন অমিত শাহ।