কোহিমা: নাগাল্যান্ডের মন শহরের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি৷ ৪ ডিসেম্বর সেনার গুলিতে ১৪ জন নিহতের ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ৷ ১৪ নাগরিক নিহতের পাশাপাশি সেনা জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছে৷ রবিবারই জেলায় কারফিউ জারি করা হয়েছে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘটনার তদন্তের নির্দেশের পাশাপাশি আজ সোমবার সংসদের দুই কক্ষে বিবৃতি দেবেন৷ বিকেল ৩ টেয় লোকসভা ও বিকেল ৪ টেয় রাজ্যসভায় তিনি বিবৃতি দেবেন৷ এ দিকে নাগাল্যান্ড পুলিস আধাসামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে৷ সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়া টু ডে সূত্রে খবর, নাগাল্যান্ড পুলিস তাদের এমআইআরে দাবি করেছে, সাধারণ নাগরিকদের খুন করায় ছিল আধাসামরিক বাহিনীর লক্ষ্য৷
সোমবার সুস্মিতা দেবের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল নাগাল্যান্ডে আসতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়৷ জেলায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় নাগাল্যান্ডে যেতে দেওয়া হচ্ছে না৷ অন্য দিকে, নিহত ১৪ জনের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে নাগাল্যান্ড সরকার৷ প্রতিটি নিহতের পরিবারকে ৫ লক্ষ করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে৷
লাগাল্যান্ডের পরিবহন মন্ত্রী রবিবারই গ্রামের কাউন্সিল চেয়ারম্যানকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের টাকা হস্তান্তর করেছেন৷ইন্ডিয়া টু ডে সূত্রে খবর, মন্ত্রী পাইওয়াং কোনিয়াক রবিবার রাতেই নিহত ও জখমদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের টাকা হস্তান্তরের জন্য দিয়েছেন৷
আরও পড়ুন: নাগাল্যান্ডে নিরীহ নাগরিকদের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ বলল বিজেপি
শনিবার একটি পিক-আপ ভ্যানে করে ওটিঙে ফিরছিলেন গ্রামবাসীরা। খনি থেকে কাজ সেরে ফিরছিলেন তাঁরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়েই সন্ত্রাসবাদীদের ধরতে ওই এলাকায় অভিযানে গিয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। জঙ্গি ভেবে গ্রামবাসীদের লক্ষ করেই গুলি চালায় বাহিনী। দীর্ঘক্ষণ কোনও খবর না মেলায় নিহতদের পরিবার পরিজন তাঁদের খুঁজতে বেরোয়। এর পরই দেখা যায়, ট্রাকের উপর পড়ে রয়েছে মৃতদেহগুলি।
দুঃখপ্রকাশ করে সেনাবাহিনী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘এই ঘটনা ও তার জেরে পরবর্তী ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক৷ দুর্ভাগ্যজনক ভাবে যে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, তার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হচ্ছে৷ আইন অনুসারে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷’ বাহিনীর কয়েকটি গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীও নেইফিউ রিও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে।