হলদিয়া: মাদুলি বাবার খোঁজে তোলপাড় হলদিয়া। করোনা রুখতে তার আবিষ্কৃত মাদুলি ধন্বন্তরীর মতো কাজ করবে, এমনই দাবি করে দিব্যি ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল হলদিয়ার সুতাহাটা ব্লকের রামচন্দ্রপুরের সৈয়দ আবদুল কাদের। মাদুলির দাম সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। শুধু দুই মেদিনীপুর জেলাই নয়, অন্যান্য জেলা থেকেও অনেকে এসে কাদেরের মাদুলি কিনে নিয়ে যান। করোনা আক্রান্ত ক্রেতার চেহারা ও আর্থিক অবস্থা যাচাই করে মাদুলির দাম হাঁকত ৭০ বছরের বৃদ্ধ কাদের।
বিভিন্ন বিজ্ঞানমনস্ক সংগঠন সৈয়দের কারবারের বিরুদ্ধে পুলিস প্রশাসনে অভিযোগ করে। তারপরই নড়েচড়ে বসে পুলিস। প্রতারক সৈয়দকে ধরতে গ্রামে হানা দেয় পুলিস। তার আগেই অবশ্য গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে ওই বৃদ্ধ। বিজ্ঞান মঞ্চের সুতাহাটা শাখা, হলদিয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রের সদস্যরা পুলিসের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এইসব সংগঠন ওই গ্রামে এবং আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারও শুরু করে। গ্রামে গ্রামে ঘুরে সদস্যরা মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, মাদুলিতে করোনা তো দূরের কথা, কোনও রোগই সারে না।
আরও পড়ুন: Narayan Debnath: প্রয়াত নারায়ণ দেবনাথ
স্থানীয় সূত্রের খবর, তার আবিষ্কৃত মাদুলি ধারণ করলেই করোনা উধাও হয়ে যাবে বলে প্রচার চালায় কাদের। মানুষের কাছে সে দাবি করে, তার মাদুলি ধারণ করে অনেকেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে। বাড়িতে বসেই কাদের ব্যবসা শুরু করে। মাদুলি কিনতে লোকজনের ভিড়ও বাড়তে থাকে রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাড়িতে।
বিজ্ঞান মঞ্চের মতো বিভিন্ন সংগঠনের কাছে খবর আসে, ওই গ্রামে চড়া দামে করোনা দূর করার জন্য মাদুলি বিক্রি হচ্ছে। তারপরই তারা পুলিসের কাছে অভিযোগ জানায়। প্রশাসনের তরফ থেকেও জেলাবাসীকে এ ব্যাপারে সতর্ক করা হচ্ছে। কোনওরকম গুজবে কান না দেওয়ার জন্য প্রচার চলছে গ্রামে গ্রামে।