কলকাতা: ‘হাঁদা-ভোঁদা’ (Handa Bhonda), ‘বাঁটুল দি গ্রেট’-এর (Batul The Great) স্রষ্টা, নবতিপর শিল্পী নারায়ণ দেবনাথের জীবনাবসান (Narayan Debnath Death) । মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় বাংলা কমিকের প্রবাদপ্রতিম স্রষ্টার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৭। টানা ২৫ দিন ধরে নারায়ণবাবু এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছিলেন এই প্রবীণ শিল্পী। এর আগেও একাধিক বার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। গত বছর জানুয়ারিতেও নারায়ণ দেবনাথ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু এ বারের সমস্যা ডাক্তারদের চোখে আরও গুরুতর বলে মনে হয়েছিল। কিডনি ঠিকমতো কাজ করছিল না। ফুসফুসেও জল জমছিল।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সমরজিৎ নস্করের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলে প্রবীণ এই শিল্পীর। চিকিত্সায় যাতে ত্রুটি না থাকে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলা কমিকের প্রবাদপ্রতিম স্রষ্টার জন্য বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল টিমও গড়া হয়েছিল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত কয়েক দিন ধরে বাইপ্যাপ সাপোর্টেই ছিলেন নারায়ণ দেবনাথ। কিন্তু শরীরে অক্সিজেন মাত্রা ক্রমশ কমতে থাকায়, মেডিক্যাল বোর্ড তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
পরিবার সূত্রে খবর, ২৪ ডিসেম্বর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন প্রবীণ শিল্পী। বর্ষীয়ান শিল্পীর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়মিত তাঁর চিকিৎসার খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন। দিন কয়েক আগে হাসপাতালের বেডেই তাঁর হাতে কেন্দ্রের তরফে ‘পদ্মশ্রী’ সম্মান তুলে দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় ও স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকা।
আরও পড়ুন- Narayan Debnath: হাজারো বাঁটুল পাবেন, কিন্তু নারায়ণ দেবনাথের বাঁটুল আজও একমেবদ্বিতীয়ম
নারায়ণ দেবনাথের সৃষ্টি ‘হাঁদা-ভোঁদা’, ‘বাঁটুল দি গ্রেট’, ‘নন্টে ফন্টে’, ‘বাহাদুর বেড়াল’, ‘ডানপিটে খাঁদু আর তার কেমিক্যাল দাদু’র জনপ্রিয়তা ছোটদের কাছে এখনও সমান জনপ্রিয়। বাংলা কমিকের প্রবাদপ্রতিম স্রষ্টাকে ২০১৩ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। ২০২১ সালে পান পদ্মশ্রী। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি নিজের হাতে ওই সম্মান নিতে পারেননি।