কলকাতা: বর্ষশেষের রাতে কলকাতায় ফিরে এল কনটেনমেন্ট জোন৷ শহরের ১৬ থেকে ১৭টি জায়গাকে চিহ্নিত করে সেই এলাকাগুলিকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা৷ শুক্রবার পুরসভায় লালবাজারের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে শহরের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করতে বৈঠক করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ-সহ পুর আধিকারিকরা৷ সেই বৈঠকে ঠিক হয়, কোনও এলাকায় সংক্রমণ ৫-এর বেশি হলে সেই জায়গাকে কনটেনমেন্ট জোনের আওতায় আনা হবে৷ শহরে ফের চালু হবে সেফ হোম৷ পাশাপাশি, সমস্ত কনটেনমেন্ট জোনে বন্ধ থাকবে সুইমিং পুল এবং জিম৷ পরে সাংবাদিকদের ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘সবাইকে হাত জোড় করে অনুরোধ, টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে নিন৷ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাই হাতিয়ার৷ টিকা নেওয়ার জন্যই মৃত্যুহার কমে গিয়েছে৷ সংক্রমিতদের ৮০ শতাংশ উপসর্গহীন৷’
জুলাইয়ের পর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে৷ পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কলকাতায় আক্রান্তের সংখ্যা৷ এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের তরফে নবান্নকে চিঠি পাঠানো হয়৷ সেখানে বলা হয়েছে, হটস্পট এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে ছোট ছোট কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করার৷ কেন্দ্রের সুপারিশ মেনে সংক্রমণের নিরিখে কলকাতাকে ছোট ছোট কনটেনমেন্ট জোনে ভাগ করেছে পুরসভা৷ মোট ১৬-১৭টি কনটেনমেন্ট জোন তৈরি হচ্ছে শহরে৷ পাশাপাশি করোনা রুখতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করতে চলেছে পুরসভা৷ ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, হকারদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক৷ কোনও হকার মাস্ক না পড়লে তাঁকে বসতে দেওয়া হবে না৷ ক্রেতা-বিক্রেতা দু’জনকেই মাস্ক পড়তে হবে৷ পুলিসকে বলা হয়েছে নজরদারি চালাতে৷
এ দিন বৈঠক শেষে অতীন ঘোষকে নিয়ে মেয়র ফিরহাদ যান পার্ক স্ট্রিটে৷ বর্ষশেষ উপলক্ষে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ৷ পুরসভার তরফে পার্ক স্ট্রিটে মাস্ক বিলি করা হবে৷ এছাড়া ঠিক হয়েছে, জনসচেতনা বাড়াতে শহরের বড় বড় বাজারগুলিতে মাইকে নিয়মিত প্রচার চালাবেন পুর কর্মীরা৷
আরও পড়ুন: Kolkata CP: করোনা রুখতে কলকাতাবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান নতুন সিপির