নয়াদিল্লি: ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর (Jhalda councilor murder) খুনের ঘটনায় লোকসভায় সরব অধীররঞ্জন চৌধুরী। মঙ্গলবার লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর ঝালদার ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন। তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। বাক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। নির্বিচারে খুন (Purulia Councilor Murder) চলছে। অবিলম্বে ঝালদায় কাউন্সিলর খুনে সিবিআই তদন্ত করতে হবে। এদিন আগাগোড়া বাংলায় বক্তব্য পেশ করেন অধীর।
মঙ্গলবার অধীর বলেন, বাংলায় গণতন্ত্র ধর্ষিত হচ্ছে। নির্বিচারে কংগ্রেস নেতাদের খুন করা হচ্ছে। ঝালদায় কাউন্সিলর তপন কান্দুর জয়ের পরই সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত শুরু করে শাসকদল। শাসক দলের অত্যাচারে মুখ খলার কোনও উপায় নেই।একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, নৃশংস ভাবে কংগ্রেস কাউন্সিলরকে খুন করা হচ্ছে। তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই ঘটনা প্রমাণ করে দেয় বাংলার মানুষ কতটা আতঙ্কের মধ্যেয় দিন কাটাচ্ছে। এরপরই সিবি আই এর তদন্তের দাবি তোলেন।
গত রবিবার পুরুলিয়ার ঝালদায় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন কংগ্রেসের কাউন্সিলর তপন কান্দি। ওই একই দিনে পানিহাটিতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত।দু’টি ঘটনাকেই নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মঙ্গলবার সংসদে অধীর তপন-খুন নিয়ে যতটা সুর চড়ালেন, সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন, তাঁর বিন্দু মাত্রও শোনা যায়নি অনুপম দত্ত খুনের ঘটনায়।
আরও পড়ুন Visva Bharati Registrar Resign: আচমকাই ইস্তফা বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারের, বাড়ছে জটিলতা
রবিবার সন্ধায় খুন হন কংগ্রেস তপন কান্দু। তারপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে নানা রকম রাজনৈতিক জল্পনা- চাপানউতোর শুরু হয়। এই ঘটনায় তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা সরাসরি অভিযোগ তোলেন ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের বিরুদ্ধে। ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে বিভিন্ন ভাবে আইসি তপনের উপর চাপ দিচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তপনকে তৃণমূলে যোগ দেওওার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরাসরি সঞ্জীব ঘোষ-নরেন কান্দুদের বিরুদ্ধে আঙুল তোলেন।
আরও পড়ুন Hijab Row Karnataka HC: হিজাব ইসলাম ধর্মের আবশ্যিক অঙ্গ নয়,
বিষয়টি আরও রাজনৈতিক রঙ পায় যখন সেখানে পৌঁছয় কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরী।অধীর সরাসরি তৃণমূলের দিকে অভিযোগ তোলেন। বলেন সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জনের জন্যই তৃণমূলের গুণ্ডারা খুন করেছে তপনকে। তখনই রাজ্য-পুলিস- প্রশাসনের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ এনেছিলেন অধীর। তপনের পাশাপাশি আমতায় আনিস খানের মৃত্যু, বর্ধমানের তুহিনা খাতুনের প্রসঙ্গ তুলেও পুলিসকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন অধীর। সোমবার যেখানে শেষ করেছিলেন, মঙ্গলবার সেখান থেকেই রাজ্য প্রশাসনকে আক্রমণ শুরু করেন অধীর।
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা দাবি করেন বাংলায় বেছে বেছে কংগ্রেস কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জনের জন্যই এমন কাজ তৃণমূল এবং তৃণমূল আশ্রিত গুণ্ডারা করে চলেছিরবলেই অভিযোগ তুলেছে অধীর।