নয়াদিল্লি: খোলা বাজারে বিক্রির অনুমোদনের অপেক্ষায় কোভিশিল্ড (Covishield) এবং কোভ্যাক্সিন (Covaxin)৷ দেশের ড্রাগ নিয়ামক সংস্থা ডিসিজিআইয়ের (Drug Controller General of India) সবুজ সঙ্কেত পেলেই খোলা বাজারে পাওয়া যাবে করোনার দুই প্রতিষেধক৷ তখন প্রতি ডোজের দাম কত পড়বে? বাড়বে নাকি কমবে? সাধারণ মানুষের চিন্তা দাম নিয়েই৷ তবে সরকারি সূত্রে যা খবর, তা জেনে অনেকটাই স্বস্তি পাবেন মানুষ৷ সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সরকার প্রতি ডোজের দাম ৫০০-র নীচে বেঁধে রাখতে চাইছে৷
সরকারি সব টিকা কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে টিকা পাওয়া গেলেও বেসরকারি জায়গা থেকে চড়া দামেই ডোজ নিতে হচ্ছে মানুষকে৷ বর্তমানে কোভিশিল্ডের একটি ডোজের দাম পড়ছে ৭৮০ টাকা৷ কোভ্যাক্সিনের দাম তো আরও বেশি৷ ভারত বায়োটেকের তৈরি টিকার এক একটি ডোজের দাম ১২০০ টাকা৷ দুটি টিকার ক্ষেত্রে আলাদা করে সার্ভিস ট্যাক্স দিতে হচ্ছে না৷ ওই দামের সঙ্গে সার্ভিস ট্যাক্স ধরা আছে৷
খোলা বাজারে এই দামকে ৫০০-র নীচে নামিয়ে আনতে চাইছে সরকার৷ সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড-উভয় টিকার প্রতি ডোজ কিনতে লাগবে ৪২৫ টাকা৷ ডোজের দাম ধরা হয়েছে ২৭৫ টাকা৷ আর সার্ভিস চার্জ বাবদ নেওয়া হবে ১৫০ টাকা৷ ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিকল প্রাইজিং অথরিটিকে (National Pharmaceutical Pricing Authority বা NPPA)-কে বলা হয়েছে ৪০০-৫০০র মধ্যে প্রতি ডোজের দাম বেঁধে রাখতে৷
কিছুদিন আগে সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের বিশেষজ্ঞ কমিটি করোনার দু’টি টিকা শর্তসাপেক্ষে প্রাপ্তবয়স্কদের ব্যবহারের জন্য খোলা বাজারে বিক্রির সুপারিশ করে৷ যদিও গত বছর অক্টোবর সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর ড্রাগ কন্ট্রোলারের কাছে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনকে খোলা বাজারে বিক্রি করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল৷ কয়েক সপ্তাহ আগে একই আবেদন করেন ভারত বায়োটেকের ডিরেক্টর ভি কৃষ্ণা মোহন৷