কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের ‘অশনি’ (Cyclone Ashani) সংকেত। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। আগামী সপ্তাহেই ওই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে (cyclonic storm) পরিণত হয়ে আছড়ে পড়বে আন্দামান উপকূলে (A&N Islands)। শ্রীলঙ্কা এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে অশনি। তবে অশনির দৃষ্টি এ রাজ্যে খুব একটা পড়বে না বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অফিসের আধিকারিকরা জানান, বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে সৃষ্টি হওয়া ওই নিম্নচাপ আন্দামানের কাছাকাছি এসে আরও শক্তিশালী হবে ৷ শনিবার এটির সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা। রবিবার অর্থাৎ ২০ মার্চ নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে (Deep Depression Ashani) পরিণত হতে পারে। সোমবার ২১ মার্চ এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে৷ অশনি নামে (Cyclone Ashani) ওই ঘূর্ণিঝড় প্রাথমিকভাবে উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগোলেও পরবর্তীতে তা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে বাঁক নিতে পারে। বুধবার ২৩ মার্চ অশনির বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলে প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে না পড়লেও এর ফলে প্রচুর জলীয় বাষ্পের সৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় জেলাগুলোতে। যার জেরে পশ্চিমবঙ্গে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন ঘটতে পারে।
LPA over central parts of south Bay of Bengal become WML on 19th along & off A&N Islands, intensify into a depression by morning of 20th March and into a cyclonic storm on 21st March. To move nearly north-northeastwards and reach near Bangladesh-north Myanmar coasts on 22nd March pic.twitter.com/Iq4CVcwn44
— India Meteorological Department (@Indiametdept) March 17, 2022
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাংলায় বসন্তের পরিবেশে আরও গরম বাড়বে। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে (Bengal Weather) আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। জেলায় জেলায় বাড়বে তাপমাত্রা। জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় বেলা বাড়লে অস্বস্তি বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: Jhalda Murder: ভোটে জেতা নিয়ে ৫ লক্ষ টাকা বাজি ধরাকে কেন্দ্র করেই কি ঝালদায় কাউন্সিলর খুন?
অশনির কোপে (Cyclone) পড়ে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আগামী কয়েকদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দফতর। এর জেরে সোমবার ৭০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে আন্দামানে। এছাড়া দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে, বিশেষ করে কেরল, কর্নাটক, তামিলনাডু, পণ্ডিচেরিতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ওই এলাকার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।