পটনা: ভারতে পূর্ণবয়স্ক ১০০ শতাংশ নাগরিকের যেখানে করোনা ভ্যাকসিনের (Covid vaccine first dose) প্রথম ডোজটিই নেওয়া হয়নি, ১০ শতাংশের এখনও বাকি রয়েছে, সেখানে বিহারের এক ব্যক্তি (Bihar man) একাই ১১টি ডোজ নিয়েছেন। তা প্রকাশ্যে আসার পরেই ব্রহ্মদেব মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করেছে বিহার পুলিস। পুরাইনি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস ব্রহ্মদেব মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা করে তদন্তে নেমেছে।
৮৪ বছর বয়সি ব্রহ্মদেব মণ্ডলের বাড়ি মাধেপুরা জেলার পুরাইনিতে। প্রতিবার কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে পরিচয়ের প্রমাণপত্র তিনি জাল করেছেন বলে নিজেই স্বীকার করেন। প্রবীণ মানুষটির কথা অনুযায়ী, ভ্যাকসিনের ১১টি ডোজ নেওয়ার পর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার প্রভূত উন্নতি হয়েছে। ভ্যাকসিন নেওয়া শুরু করার পর থেকে তিনি কখনও অসুস্থ বোধ করেননি। ১১টি ভ্যাকসিন নিয়ে শারীরিক কোনও সমস্যাও বোধ করেননি। উলটে শারীরিক ভাবে আরও সুস্থ-সতেজ বোধ করছেন।
মাধেপুরার চিকিত্সক অমরেন্দ্র প্রতাপ জানান, অশীতিপর মানুষটি আদৌ সত্যি কথা বলছেন কি না, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির নথি ঘেঁটে তা যাচাই করা হবে। যদি দেখা যায় তাঁর দাবি সত্যি, তা হলে ওই প্রবীণ মানুষটিকে এত বার ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘটনায় আর যাঁরা জড়িত, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Covid India: দুই বিচারপতি-সহ সুপ্রিম কোর্টের ১৫০-র বেশি কর্মী করোনা আক্রান্ত
ব্রহ্মদেব মণ্ডলের দাবি অনুযায়ী, প্রথম ভ্যাকসিনটি তিনি নেন ১৩ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় ভ্যাকসিনটি নেন ঠিক একমাসের মাথায়, ১৩ মার্চ। তৃতীয় ডোজটি নেন ১৬ জুন ভুপেন্দ্র ভগত শিবির থেকে। পঞ্চম ডোজটি নিয়েছেলিন ২৪ জুলাই পুরনো বাদিহাট স্কুল থেকে। ষষ্ঠ ডোজটি নেন ৩১ অগস্ট নাথবাবা স্থান শিবির থেকে। সপ্তম ডোজটি নিয়েছিলেন ১১ সেপ্টেম্বর, বাদিহাট স্কুল থেকে, অষ্টম ডোজটিও নেন বাদিহাট স্কুল থেকে, ২২ সেপ্টেম্বর। নবম ডোজটি নেন ২৪ সেপ্টেম্বর, কালাসানের স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে। দশম ডোজটি নিয়েছিলেন খাগারিয়া জেলায় গিয়ে। ১১তম ডোজটি নেন ভাগলপুরের কাহালগাঁওয়ে গিয়ে।
পুলিস সূত্রে খবর, ২ ডিসেম্বর ১২তম ডোজ নিতে গিয়ে প্রবীণ মানুষটি প্রথম বার তিনি ধরা পড়েন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় আট বার আধার কার্ডের সঙ্গে নিজের ফোন নম্বর দিয়েছিলেন। বাকি তিন বার নিজের ভোটার কার্ডের সঙ্গে স্ত্রীর মোবাইল ফোন নম্বর দিয়েছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিস জানতে পারে প্রবীণ মানুষটি ডাক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী।
আরও পড়ুন: Reliance: নিউ ইয়র্কের অভিজাত পাঁচ তারা হোটেল কিনছে রিলায়েন্স