বালুরঘাট: কুমারগঞ্জের আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়নি৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ প্রমাণিত হয়নি৷ শনিবার জানিয়ে দিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিস সুপার রাহুল দে৷ আদিবাসী মহিলা খুনের পর শুক্রবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ হচ্ছে৷ পুলিস তৃণমূল নেতাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যস্ত৷ কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ প্রমাণিত না হওয়ায় অস্বস্তি পড়ে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপি৷ এদিন পুলিস সুপার রাহুল দে বলেন, শ্বাসরোধ করে ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে৷ তাছাড়া মুখে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে৷ ভারী কিছু জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছে৷ কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের কোনও উল্লেখ নেই৷
এ দিকে আদিবাসী মহিলাকে খুনের ঘটনায় তাঁর সৎ ভাই রবীন টুডুকে গতকালই গ্রেফতার করেছিল পুলিস৷ ধৃতকে আজ বালুরঘাট আদালতে তোলে কুমারগঞ্জ থানার পুলিস৷ জেলার পুলিস সুপার রাহুল দে জানিয়েছেন, রবীন টুডুর সাতদিনের পুলিসি হেফাজত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে৷ জমিজমা নিয়ে বিবাদের কারণেই সৎ দিদিকে সে খুন করে বলে শুক্রবার জানিয়েছিল পুলিস৷ কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করে রবীন টুডু৷ শুক্রবার শ্মশানে দাঁড়িয়ে রবীন টুডু স্থানীয় বন্ধুদের কাছে দাবি করে, সে খুনের ঘটনায় আদৌ জড়িত নন। তার মুক্তির দাবিতে স্থানীয়রা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। এর কিছু পরেই ঘটনাস্থলে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ মৃতার ভাইকে অযথা ফাঁসানো হয়েছে। সুকান্তও স্থানীয়দের সঙ্গে অবরোধে শামিল হন।
বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, অবরোধের অভিযোগে স্থানীয় অনেক যুবককে ধরে নিয়ে যায়৷ তিনি তাদেরও অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে একটার পর একটা ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, পুলিশ জনগনকে নিরাপত্তা না দিলেও তৃণমূল নেতাদের বাড়ি পাহারা দিতে ব্যস্ত৷
আরও পড়ুন: Kumarganj: কুমারগঞ্জে আদিবাসী মহিলা খুনে গ্রেফতার সৎ ভাই, মুক্তির দাবিতে অবরোধ