ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে ব্যান করেছে ফিফা। সেই ব্যান তোলার জন্য সচেষ্ট হয়েছে সব পক্ষই। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় সরকারের চেষ্টা বেশ বলার মতো। বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চের সামনে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, “আমাদের সঙ্গে ফিফা কর্তাদের কথা হয়েছে। ওদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের মনে হয়েছে ব্যান তাড়াতাড়ি উঠে যাবে।” এই শুনে বিচারপতি চন্দ্রচূড় শুনানি স্থগিত করে দেন। আবার ২২ আগস্ট শুনানি হবে।
ফিফা বলেছে তারা তৃতীয় পক্ষের উপস্থিতি মেনে নেবে না। ভারতের ক্ষেত্রে তৃতীব পক্ষ মানে কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স। এই কমিটির তত্বাবধানেই হচ্ছে নির্বাচন ২৮ আগস্ট। গত মে মাস থেকে এই কমিটিই চালাচ্ছে ফেডারেশন। কিন্তু তারা যে সংবিধান তৈরি করেছে তাতে ৩৬ জন প্রাক্তন ফুটবলারকে কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে ভোটারের কথা বলা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৪জন পুরুষ ফুটবলার। ১২ জন মেয়ে ফুটবলার। এখানেই আপত্তি ফিফার। তাদের ফতোয়া মোট ভোটদাতার ২৫ শতাংশ হতে পারবে প্রাক্তন ফুটবলাররা। এখন দেখার ২২ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ কী রায় দেন।
ভারতীয় ফুটবলের ৮৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ফিফা ব্যান করল। এবং এর জন্য ফুটবল মহল দায়ী করছে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রফুল প্যাটেলকে। তিনি যদি ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ফেডারেশনের নির্বাচনটা করে ফেলতেন তাহলে এই অবস্থার সৃষ্টি হত না। নির্বাচিত কমিটির হাতে আবার ফেডারেশনের দায়িত্ব চলে গেলে ব্যান হয়তো উঠৈ যাবে। কিন্তু ব্যান যদি দীর্ঘায়িত হয় তা হলে ৭ সেপ্টেম্বর এ এফ সি কাপে এটিকে মোহনবাগানের আঞ্চলিক সেমিফাইনালে খেলা হবে না। তবে ফুটবল মহলের আশা ২৮ আগস্ট যদি নির্বাচন হয়ে যায় (সেদিনই ফল ঘোষণা) তাহলে ব্যান হয়তো তার কয়েক দিনের মধ্যেই উঠে যাবে।