হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন ক্রিস্টিয়ান এরিকসন। কয়েকদিন আগেই ইউরো কাপে ডেনমার্কের এই ফুটবলারটি মাঠে খেলতে খেলতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মাঠেই সিপিআরের সাহায্যে জীবন বাঁচানোর জন্য লড়াই করেন সতীর্থ ফুটবলাররা এবং চিকিৎসকরা। জ্ঞান ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কোপেনহেগেন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিভিন্ন টেস্ট করে দেখা যায় তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। ধরা পড়ে হৃৎপিণ্ডের সমস্যা। ডেনমার্ক ফুটবল সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এরিকসনের সফল অস্ত্রোপচার হওয়ার পর, শুক্রবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর শরীরে দেফাইব্রিলেটর নামের একটি যন্ত্র বসানো হয়েছে, যা তাঁর হৃদপন্দনকে নিয়ন্ত্রন করবে বলে জানা গেছে। এই যন্ত্রটি শরীরে থাকলে, বডি কন্টাক্ট কোনও খেলায় অংশ নেওয়া যায় না। ধাক্কা লাগলে এই যন্ত্র কাজ করা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তখনই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ৪-৫ সপ্তাহ পর এরিকসনের কিছু টেষ্ট হবে। তখন বোঝা যাবে তাঁর ভবিষ্যত। এদিন ছাড়া পাওয়ার পর তিনি ডেনমার্ক ফুটবল দলের প্র্যাকটিসে গিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে দেখাও করেছেন।
আরও পড়ুন – রাখে হরি তো মারে কে …
হাসপাতালে থাকাকালীন নিজেই টুইট আর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে সতীর্থ ফুটবলারদের নিজের সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। তাঁর ক্লাব ইন্টার মিলানের সকলে খুব উদ্বিগ্ন ছিল। তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, এরিকসনের শরীরে কোনও সমস্যা হেলথ চেক আপে ধরা পড়েনি। এমনকি কভিডেও আক্রান্ত হননি। আর কভিডের টিকাও তাঁকে দেওয়া হয়নি।
হাসপাতলে সারাক্ষণ তাঁর স্ত্রী এবং ডেনমার্ক দলের ডাক্তার সঙ্গে সঙ্গে ছিলেন। ২৯ বছর বয়সের এই ফুটবলারটি এরপর আদৌ মাঠে ফিরবেন কিনা, বা ফিরলে কতদিন পরে ফিরতে পারবেন তা ভবিষ্যতই বলবে।
ছবি:সৌ-টুইটার