কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: আইনি লড়াইয়ে হেরে গেলেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা (tennis superstar) নোভাক জকোভিচ(Novak Djokovic)। রবিবার অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল কোর্টের (federal court ) বিচারকরা টেনিস তারকা জোকোভিচের শেষ আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন। ফলে, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে (Australian Open) খেলতে পারবেন না এই সার্বিয়ান (Serbian) তারকা।আপাতত, জকোভিচকে দেশে ফেরত পাঠানোর তোড়জোড় করছে ভিক্টোরিয়া সরকার।
গত মাসে কোভিডে আক্রান্ত হন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা। পরে কোভিড মুক্ত হয়েই কোর্টে খেলতে নেমে পড়েন৷ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে চলতি সপ্তাহে সে দেশে যান৷ এদিকে কোভিডের জন্য অস্ট্রেলিয়াতে বাইরের দেশের নাগরিকদের জন্য নিয়মের অনেক কড়াকড়ি৷
অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক না হলে সে দেশে ঢুকতে গেলে কোভিড টিকার সম্পূর্ণ ছাড়পত্র লাগছে। জকোভিচ এক মাস হল কোভিড সংক্রমণ থেকে সেরে উঠেছেন। ৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার মেলবোর্ন (Melbourne) বিমানবন্দরে নামার পর অভিবাসন দফতর জকোভিচকে আটক করে৷ তাঁর কাছে কোভিড টিকাকরণ সংক্রান্ত নথিপত্র ছিল না বলে অভিবাসন দফতর দাবি করে৷ জকোভিচের ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়৷ তাঁকে হোটেলে আটক করে রেখে দেওয়া হয়৷ টেনিস তারকার আইনজীবী পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করেন৷
এরপরেই আদালতে চ্যলেঞ্জ করেন টেনিস তারকার আইনজীবী। সোমবারেই ওই মামলায় জয় পেয়েছিলেন নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic)৷ ভিসা বাতিল সংক্রান্ত মামলায় মেলবোর্নের ফেডারেল সার্কিট অ্যান্ড ফ্যামিলি কোর্ট অফ অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকার পক্ষে রায় দিয়েছিল৷ বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন আধঘণ্টার মধ্যে জকোভিচকে মুক্তি দিতে।
আরও পড়ুন- India Open: কোভিডের দাপাদাপিতে প্লেয়াররা সরে যাচ্ছেন একের পর এক!
অস্ট্রেলিয়া সরকারের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে জিতে গেলেও বৃহস্পতিবার খেলার ক্রীড়াসূচির লটারি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আয়োজকদের তরফ থেকে৷ তাদের বক্তব্য, অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী অ্যালেক্স হকের দফতর, জকোভিচের ভিসা বাতিল করা যায় কি না, সেই চেষ্টা চালাচ্ছিল। এরপরেই শুক্রবার আরও একবার বাতিল করে দেওয়া হয় জকোভিচের (Novak Djokovic) ভিসা।
এরপর পুনরায় আদালতের দ্বারস্থ হন এই সার্বিয়ান তারকা। রবিবার অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল কোর্ট সরকারের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দেয়। টিকা না নেওয়া খেলোয়াড়কে কোনও ভাবেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার অনুমতি দেওয়া যাবে না বলেই জানায় কোর্টের ৩ বিচারকের প্যানেল। ফলে, টানা ১১ দিন আইনি লড়াইয়ের পরে করোনা টিকা না নেওয়ার কারণে বাতিল করে দেওয়া হয় জকোভিচের ভিসা।