লাহোর: এশিয়া কাপের (Asia Cup) সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে (Bangladesh) সাত উইকেটে চূর্ণ করেছে পাকিস্তান (Pakistan)। লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে (Gaddafi Stadium) টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বঙ্গ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান (Sakib Al Hasan)। কিন্তু পাকিস্তানের পেস ত্রয়ী শাহিন আফ্রিদি (Shahin Afridi), নাসিম শাহ (Naseem Shah) এবং হারিস রউফের (Haris Rauf) দাপটে ৩৮.৪ ওভারে ১৯৩ রানে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। টানা তিন ম্যাচ আফ্রিদিদের দাপট দেখে অনেকেই বলছেন, এই পেস অ্যাটাকই এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা। আগামী রবিবার ভারতকে সামলাতে হবে এই আক্রমণকেই। তবে জল্পনা উঠেছে, ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না নাসিম শাহ।
আরও পড়ুন: সাবধান ইন্ডিয়া আমরা আসছি! আফ্রিদিদের দাপট দেখে হুঁশিয়ারি পাক সমর্থকদের
Naseem Shah injury: Hopefully it isn’t a serious injury but looks scary from the way he’s walking ??
Prayers for speedy recovery ?#BANvPAK #PAKvBAN #AsiaCup2023 #AsiaCup23 #ShaheenAfridi #Shaheen #NaseemShah #BabarAzam #Pakistan #PakvsBan pic.twitter.com/FqifXp3SGP— Fourth Umpire (@UmpireFourth) September 6, 2023
বাংলাদেশ ইনিংসে সপ্তম ওভার করতে যান শাহিন। তাঁর প্রথম বলে ফাইন লেগে ফ্লিক করেন মহম্মদ নাইম। বাউন্ডারি লাইনে সেই বল আটকাতে গিয়ে চোট পান নাসিম। হাতে চোট পেয়েছেন তা স্পষ্টই বোঝা যায়। এমনকী ফিজিও না আসা পর্যন্ত বাউন্ডারি লাইনের ধারে শুয়েই ছিলেন তরুণ পাক পেসার। ফিজিও আসার পর তাঁকে শুশ্রুষা করতে মাঠের বাইরে নিয়ে যান।
Hope Injury of Naseem Shah is not serious because we badly need him in World Cup?❤️.#PakvsBan | #AsiaCup2023 | #PakvBan | #BanvsPak | #AsiaCup23 | #NaseemShah pic.twitter.com/0ouuCatsXu
— Ehtisham Siddique (@iMShami_) September 6, 2023
পরে অবশ্য ফিরে এসে বল করেন তিনি। মোট ৫.৪ ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে নাসিমের না খেলার জল্পনা তাও রয়েছে। কারণ সামনেই রয়েছে আসল লক্ষ্য বিশ্বকাপ। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুঞ্জন, ঝুঁকি না নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে তাঁকে বিশ্রামে রাখা হতে পারে। তবে এ নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি পাকিস্তান।
শাহিনশাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ এবং হারিস রউফ। সম্ভবত এই মুহূর্তের একমাত্র পেস-আক্রমণ যেখানে তিনজনেই ১৪৫ কিমি প্রতি ঘণ্টার উপরে বল করতে পারেন। সেই সঙ্গে রয়েছে সুইং এবং অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ। বিশ্বের যে কোনও ব্যাটিং লাইন আপকে ধ্বংস করতে পারে এই পেস আক্রমণ তা ভারতের বিরুদ্ধেই দেখা গিয়েছে। সুপার ফোরে (Super Four) পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও ত্রিফলার শক্তি দেখা গেল।