দু দিন আগেই তাঁর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ হয়েছিল। কোভিড আই সি সি ইউ থেকে জেনারেল আই সি সি ইউ বেডে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। চণ্ডীগড়ের পিজিআইএম আর-এর ডাক্তাররা আশা করেছিলেন তিনি সুস্থ হয়েই বাড়ি ফিরতে পারবেন। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই উড়ন্ত শিখ মিলখা সিংয়ের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এর পর তাঁর অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল কমে যায়। ডাক্তাররা আপ্রাণ চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারলেন না। রাত সাড়ে এগারোটায় জীবনাবসান হয় তাঁর। গত তেসরা জুন তিন ভর্তি হয়েছিলেন এই হাসপাতালে। পাঁচ দিন আগে চলে গেছেন তাঁর স্ত্রী নির্মলা কাউর সিং। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫। আর মিলখার বয়স হয়েছিল ৯১।
অলিম্পিকে পদক না পেলেও ভারতবর্ষের সর্বকালের সেরা অ্যাথলিটের নাম মিলখা সিং। ১৯৬০-এর রোম অলিম্পিকে মিলখা ৪০০ মিটারে অলিম্পিক রেকর্ড করেও চতুর্থ হয়েছিলেন নিজেরই ভুলে। পিছনের আ্যাথলিট ঠিক কোথায় আছে তা পিছন ফিরে দেখতে গিয়ে সেকেন্ডের ভগ্নাংশের জন্য তিনি পদক হারান। তবে তার আগে ইউরোপ সার্কিটে টানা ৩২টি মিটে সোনা পেয়েছেন। এশিয়ান গেমসে জোড়া সোনা ছাড়াও কমনওয়েলথ গেমসেও সোনা ছিল তাঁর। দেশ বিভাগের পর পাকিস্তান থেকে এসে অত্যন্ত দারিদ্রের মধ্যে বেড়ে ওঠা মিলখা জীবন যন্ত্রণার হাত থেকে বাঁচতে বেছে নিয়েছিলেন দৌড়কেই, যা তাঁকে বিশ্ববন্দিত করেছিল। সত্যি কথা বলতে কী অলিম্পিক পদক না পেয়েও অ্যাথলেটিক্স জগতে তিনি অলিম্পিক জয়ীর সম্মান ও মর্যাদা পেয়েছেন। ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত করেছিল। মিলখার বায়োপিক ভাগ মিলখা ভাগ যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছিল। মিলখা রেখে গেলেন তিন কন্যা এবং এক পুত্র শ্রীজীব মিলখা সিংকে, যিনি বিখ্যাত গলফার। মিলখার মৃত্যুতে গভীর সোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।