মলদ্বীপ: অবশেষে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম জয় পেল ভারত| অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর গোলেই এল সেই কাঙ্খিত জয়| আর তাতেই সাফের মঞ্চে খাতায় কলমে এখনও হয়ত খানিকটা আসা জিইয়ে রাখতে পারল মেন ইন ব্লুজ ব্রিগেড| ১-০ গোলে নেপালকে হারাল ঈগর স্টিমাচের ভারত|
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে, পরপর দু ম্যাচই জিততে হবে ভারতকে| সেই লক্ষ্যে আপাতত প্রথম ধাপে সাফল্য পেল তারা| লড়াইটা হাড্ডহাড্ডি হলেও শেষপর্যন্ত ম্যাচের ফলাফল ভারতের পক্ষেই এল|
এদিন নেপালের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছক সাজিয়েছিলেন ঈগর স্টিমাচ| সাফে টিকতে থাকতে হলে, সে ছাড়া হয়ত উপায়ও ছিল না তাঁর| যদিও সাফল্যটা এল ম্যাচের একদম শেষলগ্নে| ভারতীয় শিবিরে স্বস্তিও ফিরল খানিকটা|
ম্যাচের শুরু থেকেই এদিন নেপালকে চাপে রাখার চেষ্টা শুরু করেছিল ভারত| নেপাল প্রতিআক্রমণে না গিয়ে, একটু রক্ষণাত্মক ফুটবলই খেলেছে এদিন| ৪-৪-২ ছকে নেমে এদিন শুরু থেকেই ভারতের ছিল মুহুর্মুহু আক্রমণ| শুধু গোলের মুখটা খুলতেই পারছিলেন না সুনীল, মনবীর সিংরা|
গোটা ম্যাচ জুড়ে শুধু ভারতেরই দাপট ছিল| ৬২৩টা পাস খেলেছেন ভারতীয় ফুটবলাররা| যেখানে নেপালের সংখ্যা মাত্র ২১৪| বল পজেশনও ছিল ভারতেরই দখলে| পাঁচবার গোলের ভাল সুযোগও পেয়ে গিয়েছিলেন সুনীলরা| কিন্তু বারবারই অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছেন তারা| প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থায়|
বিরতিরও চিত্রটা খুব একটা বদলায়নি| ম্যাচের রাশ ছিল ভারতেরই পক্ষে| কিন্তু গোলের মুখ খুলতে না পারায়, অস্বস্তি ক্রমশই বাড়ছিল ভারতীয় দলের তারকা কোচের চোখেমুখে| এই ম্যাচ জিততে না পারলে যে সব শেষ, তা ভালভাবেই জানতেন তিনি|
সময় ক্রমশই কমে আসছিল| ৭০ মিনিটের মাথায় স্টিমাচের দলে পরিবর্তন| আক্রমণে আরও চাপ বাড়াতে ফারুক চৌধুরীকে মাঠে নামান তিনি| আর তাতেই বাজিমাত| সেই ফারুকের বাড়ানো বল থেকেই ৮২ মিনিটের মাথায় ভারতকে জয় এনে দেন সুনীল ছেত্রী| স্বস্তি ফেরে কোচের মুখেও|
প্রথম জয় পাওয়ার আনন্দ থাকলেও, অবশ্য পুরোপুরি স্বস্তি এখনও নেই ভারতীয় শিবিরে| শেষম্যাচে ভারতকে নামতে হবে মলদ্বীপের বিরুদ্ধে| সেই ম্যাচ যেমন জিততে হবে, তেমনই নেপাল বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে মেন ইন ব্লুজ ব্রিগেডকে| ৩ ম্যাচে দুটি ড্র ও একটি জিতে ভারতের পয়েন্ট ৫|