ক্লাব নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই এখন এম এল টেনের।
জাতীয় দলের হয়ে কোপা আমেরিকায় দাপ্পাচ্ছেন লিওনেল মেসি। কিন্তু পরের মরসুম থেকে তিনি কার? আবারও বার্সেলোনার ক্লাব ফুটবল মাতাবেন কিনা সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। ২০০০ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনায় যোগ দেন আজকের এই আর্জেন্টিনার মহাতারকা। গতকাল- বুধবারই বার্সার সঙ্গে তাঁর চুক্তি শেষ হয়ে গেছে।এখন তিনি ফ্রি প্লেয়ার। চাইলেই বিশ্বের যে কোনও ক্লাবের হয়েই খেলতে পারবেন তিনি।এখন আর তাঁকে দলে পেতে বিশাল অঙ্কের অর্থ ট্রান্সফার ফিও দিতে হবে না কোনও ক্লাবকে। মেসির চুক্তি নিয়ে বার্সেলোনার পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। এই মুহূর্তে বার্সেলোনা ক্লাবের ঋণ রয়েছে প্রায় ৮৯ হাজার কোটি টাকা। ২০১৭ সালে শেষ বার এই দলে সই করেছিলেন মেসি। সেই চুক্তি শেষ হয়েছে বুধবার-৩০ জুন।গত ১৭ বছরের মধ্যে এবারই প্রথমবারের মতো বার্সার সঙ্গে মেসির চুক্তি এভাবে শেষ হল। এর আগে প্রতিবারই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নয়া চুক্তিতে সই করেছিলেন মেসি ।
আরও পড়ুন– মেসির জোড়া গোলে বলিভিয়া বধ আর্জেন্তিনার
এবারও ৩৪ বছর বয়সী মেসির সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই তা নুতনভাবে সই করার ব্যাপারে আশাবাদী ছিল বার্সা। এমনটাই বরাবরই আশা প্রকাশ করে আসছিল বার্সেলোনা। এর আগে বিশ্ব ক্লাব দলবদলের নানান আপডেট খবর দেওয়ার এক সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো হালে এক টুইটে জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত নাকি বার্সার সঙ্গে চুক্তি হচ্ছে মেসির। দ্রুত নাকি এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হতে পারে। তবে মেয়াদ পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও এখনও মেসি সই পর্ব না সারায় বার্সা তা নিয়ে দুশ্চিন্তা হতেই পারে সমর্থকদের।
স্প্যানিশ রেডিও ‘এল ট্রানসিস্টর’কে বার্সা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা বলেছেন, ‘আমরা চাই লিওনেল মেসি থাকুক, লিও নিজেও থাকতে চায়। সবকিছু ঠিক পথেই আছে—শুধু ফিন্যান্সিয়াল ফেয়ার প্লে-র বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা হচ্ছে দুই পক্ষের জন্য।’
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ জানিয়েছে, আর্থিক সমস্যার কারণে ৩০ জুন চুক্তির শেষ দিনের মধ্যে মেসির চুক্তি নুতন করে সই করাতে পারেনি বার্সা। তবে লাপোর্তার সঙ্গে মেসির বাবার (উনি আবার মেসির এজেন্ট) সম্পর্ক খুব ভালো। যদিও নতুন চুক্তিপত্রে এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো এখন রদবদল করতে হবে। এই চুক্তি খুব দ্রুতই পাকা হবে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। সম্ভবত কিছুদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। সংবাদমাধ্যম ‘গোল ডট কম’ জানিয়েছে, চুক্তিপত্রে আর্থিক ও করের বিষয়াদি নিয়ে এখনও সমাধানে আসতে পারেনি দুই পক্ষ।
স্পেনে এর আগে “কর” নিয়ে ঝামেলায় পড়েছিলেন মেসি। কর জটিলতার দায় বার্সেলোনাকে সামলাতে হবে – সে বিষয়েও নাকি নিশ্চয়তা চেয়েছেন আর্জেন্টিনার তারকা। গত মরসুমে বার্সা কোপা দেল রে জিতলেও লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগে ব্যর্থ হয়েছে। আপাতত মেসির আর্থিক দাবি অনুযায়ী আরও দুই বছরের চুক্তি প্রস্তাব দিয়েছে বার্সেলোনা। যেখানে বলা আছে, চাইলে এই দুই বছর পর মেসি ইন্টার মিয়ামির মতো এমএলএসের কোনো ক্লাবে যোগ দিতে পারবেন। সেখানে খেলার পর্ব শেষ করে আবারও ফিরতে পারবেন প্রাণের বার্সেলোনায়, অন্য কোনো ভূমিকায়।