লাহোর: বর্তমানে ক্রিকেট দলের সঙ্গে সবসময় একজন বা দু’জন অ্যানালিস্ট থাকে। তাদের উপর নানান দায়িত্ব। বিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা খুঁজে বের করা, নিজের দলের খেলোয়াড়দের কী করলে উন্নতি হবে তা দেখা। এছাড়াও রয়েছে হিসাব-কিতাব। ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মের অঙ্ক কষা কিংবা রান রেটে এগিয়ে থাকতে হলে কত ওভারে কত রান করতে হবে এই সমস্ত কিছুর দায়িত্ব অ্যানালিস্টের। আন্তর্জাতিক স্তরের অ্যানালিস্টদের কোনওরকম ভুল হওয়ার প্রশ্নই নেই। কিন্তু আফগানিস্তানের (Afghanistan) ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছে, অ্যানালিস্টের ভুলেই এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন রশিদ খানরা (Rashid Khan)।
ঘটনাটা কী?
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দল ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার, অলরাউন্ডারে ঠাসা ক্যাঙারু বাহিনী
এমন ঘটনা সত্যিই অভূতপূর্ব। সুপার ফোরে উঠতে হলে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) দেওয়া টার্গেট ২৯২ রান ৩৭.১ ওভারে তুলতে হত আফগানদের। এটাই ছিল অঙ্ক। এই সমীকরণ অনুসরণ করেই ব্যাটিং করতে থাকেন আফগানিস্তানের ব্যাটাররা। মহম্মদ নবি (Mohammad Nabi) ৩২ বলে ৬৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। মিডল থেকে লোয়ার অর্ডারে প্রায় সবাই এমন খেলা শুরু করেন যে ২৯২ ৩৭.১ ওভারে উঠে যাওয়ার পরিস্থিতি হয়। রশিদের দাপটে ৩৭ ওভারে ২৮৯ রান উঠে যায়। অর্থাৎ এক বলে তিন রান করলেই আফগানিস্তান সুপার ফোরে চলে যেত।
Afghanistan team analyst at work. pic.twitter.com/kCBZCOkQZ3
— Silly Point (@FarziCricketer) September 5, 2023
৩৮তম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে আউট হয়ে যান মুজিব উর রহমান। ফলে আশাভঙ্গ হয় আফগানদের। কিন্তু পরে জানা যায়, ওটাই একমাত্র অঙ্ক ছিল না। ৩৭.১ বলে ২৯২ না করতে পারলেও পরের তিন বলে যদি ২৯৫ তুলতে পারত, তাতেও নেট রান রেটে শ্রীলঙ্কার থেকে এগিয়ে যেত আফগানিস্তান। এমনকী ৩৮.১ ওভারে ২৯৭ করতে পারলেও একই হত। তার জন্য প্রথমে স্কোর সমান করে একটা ছয় মারলেই হত।
কিন্তু এই সমীকরণগুলো রশিদরা জানতেন না, তাঁরা শুধু জানতেন ৩৭.১ ওভারে ২৯২ করতে হবে। অন্য অঙ্কগুলো জানলে হয়তো সুপার ফোরে যেতেন আফগানরাই, ছিটকে যেত শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে মিমের ছড়াছড়ি। আফগানিস্তানের অ্যানালিস্টকে তাড়ানো হোক, এমন দাবি প্রচুর। যদিও দলের তরফে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।