ঝালদা: ঝালদার নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর (Jhalda Murder) তপন কান্দু খুনের তদন্ত শুরু করল সিআইডি (CID)। রাজ্য গোয়ান্দা পুলিসের একটি দল মঙ্গলবার রাতেই পুরুলিয়া পৌঁছে যায়। বুধবার সকালে অতিরিক্ত পুলিস সুপার শান্তি দাসের নেতৃত্বে সিআইডি-র তিন সদস্যের একটি দল তপন কান্দুর (Congress Councillor) বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সিআইডি-র আধিকারিকরা সেখানে এক ঘণ্টা ছিলেন। নিহত কংগ্রেস নেতার স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর সঙ্গে কথা বলেন। কথা হয় তপনের এক ভাইপো মিঠুন কান্দুর সঙ্গেও।
সিআইডি-র আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর মিঠুন জানান, কান্দু পরিবারের হালহদিশ, সম্পর্কের খুঁটিনাটি বিষয়ে তত্ত্বতলাশ করছিলেন সিআইডি-র অফিসাররা। মিঠুন জানান, ভাইরাল হওয়া অডিয়ো ক্লিপ (Viral Audio Clip) নিয়ে তদন্তকারীরা এ দিন আগ্রহ দেখায়নি। সিআইডির অতিরিক্ত পুলিস সুপার শান্তি দাসকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে, তিনি এড়িয়ে যান।
ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে ইতিমধ্যে তপন কান্দুর ভাইপো দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এ বারের পুরভোটে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন দীপক কান্দু। ভোটের আগে দলবদলে তৃণমূলে যান দীপক। পরে কাকার বিরুদ্ধে ভাইপোকে প্রার্থী করে ঘাসফুল শিবির। তবে, পুরভোটে শেষ পর্যন্ত তপন কান্দুই জয়ী হন।
আরও পড়ুন: Kharar Municipality: খড়ার পুরসভার বিদ্রোহী চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
একটি অডিয়ো টেপ প্রকাশ্যে আসার পর ঝালদার আইসি বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন তপন কান্দুর স্ত্রী। ঝালদার আইসি সরাসরি খুনের চক্রান্তে জড়িত বলে দাবি করা হয়। নিহত কংগ্রেস নেতার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তপন কান্দু যাতে তৃণমূলে যোগ দেন, তার জন্য পুলিশই চাপ সৃষ্টি করছিল। যদিও, সেই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি। ঝালদার আইসিকে সরানোরও দাবি জানান জনপ্রিয় ওই কংগ্রেস নেতার স্ত্রী।
তপন কান্দু খুনের কারণ কাকা-ভাইপোর রাজনৈতিক লড়াই কি না, তা নিয়ে ধন্দে পুলিস। এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে আরও বড় কোনও চক্রান্ত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিবারের কয়েক জন সদস্যের সঙ্গে কথা বলে অসংগতিও পেয়েছে পুলিস। সেই জট খুলতেই তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি।