ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবকে নিয়ে শ্রী সিমেন্ট যেন ছেলেখেলা শুরু করেছে। মরসুম শুরু হতে আর বেশি দেরি নেই। এখন পর্যন্ত ইস্ট বেঙ্গলের সঙ্গে তাদের চুক্তিতে সই করা নিয়ে সমঝোতা হল না। আর শ্রী সিমেন্টের দেওয়া এগ্রিমেন্টে সই না করলে তারা দল গঠনের কাজ শুরু করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব আশা করেছিল, শুক্রবারই শ্রী সিমেন্ট তাদের নতুন এগ্রিমেন্টের কপি পাঠাবে। কিন্তু বিকেল চারটেয় কার্যকরী কমিটির সভা শুরু করে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত অপেক্ষার পর যখন শ্রী সিমেন্টের এগ্রিমেন্টের কপি ই মেলে এল না, তখন এদিনের মতো সভা শেষ করে শনিবার বিকেলে আবার সভা ডাকা হয়েছে। ইস্ট বেঙ্গল ক্লাব আশা করছে, শনিবারের মধ্যে নতুন এগ্রিমেন্টের কপি চলে আসবে।
গত বছর দোসরা সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে নবান্নে দু পক্ষের মধ্যে টার্ম শিট সই সাবুদ করে ইস্ট বেঙ্গল আই এস এল-এ খেলার জন্য তৈরি হয়। তখন ঠিক ছিল চুড়ান্ত এগ্রিমেন্টে সই করার আগে ইস্ট বেঙ্গল কর্তারা সব কিছু খুঁটিয়ে দেখে নেবেন। আর কদিন পরেই টার্ম শিটে সই সাবুদের বর্ষপূর্তি হতে চলেছে। কিন্তু এগ্রিমেন্টে সই হল না। ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে যে সব ব্যাপারে আপত্তি ছিল সেগুলোকে পরিবর্তন করার জন্য ক্লাব থেকে প্রাক্তন সচিব পার্থসারথি সেনগুপ্তকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। মোট সাতটি ব্যাপারে ক্লাবের আপত্তি ছিল। শ্রী সিমেন্টের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে পার্থ সেগুলো পরিবর্তন করেন। ক্লাবও সেই পরিবর্তনে সায় দেয়। এখন এই পরিবর্তনগুলোকে এগ্রিমেন্টের মধ্যে নতুন করে ঢুকিয়ে শ্রী সিমেন্টের কাছ থেকে চূড়ান্ত এগ্রিমেন্টের অপেক্ষায় ছিল ইস্ট বেঙ্গল। কিন্তু আজ নয় কাল করতে করতে শ্রী সিমেন্ট আর চূড়ান্ত এগ্রিমেন্টের কপি পাঠাতে পারল না। ক্লাব মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিল নতুন এগ্রিমেন্ট এলেই সই করে দেবে। কিন্তু শুক্রবারও সেই কপি এল না। ক্লাব চুড়ান্ত হতাশ। কিন্তু তারা এখন সই করার জন্য উদগ্রীব। তাই শনিবার যদি পরিবর্তিত এগ্রিমেন্ট আসে সেই জন্য আবার সেদিনই কার্যকরী কমিটির সভা ডাকা হয়েছে।
এদিকে এদিন ছিল ক্লাবের প্রয়াত সচিব পল্টু দাসের বিরাশিতম জন্ম দিন। এই উপলক্ষ্যে এক ঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলার উপস্থিত ছিলেন সকাল থেকেই। ক্লাব পতাকা উত্তোলন করেন মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিকাশ পাঁজি, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, সুমিত মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণেন্দু রায়দের মতো প্রাক্তনরা। এর সঙ্গে আয়োজিত হয় স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির। রক্তদান করেন দেড়শোজন স্বেচ্ছা রক্তদাতা।