বসিরহাট: বিএসএফে ছিনতাই হওয়া রাইফেল বাংলাদেশি যুবকের হাতে। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল নেট দুনিয়ায়। তাতেই ঘনীভূত হচ্ছে জল্পনা। বিএসএফের হারিয়ে যাওয়া ইন্সাস রাইফেল ও গুলি কি তবে বাংলাদেশি যুবকের হাতে? এই প্রশ্নেই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। তবে সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল।
১০ মে ভোররাতে বসিরহাটের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের উত্তরপাড়ায় ১৫৩ নম্বর মহিলা ব্যাটালিয়নের বিএসএফ কনস্টেবলের রাইফেল ও কুড়ি রাউন্ড গুলি নিয়ে একদল দুষ্কৃতী চম্পট দেয় বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা।। এমনকী তাঁকে মারধরও করা হয় বলেও অভিযোগ। গত সাতদিন ধরে চুরি যাওয়া রাইফেল নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছে প্রশাসনিক কর্তারা। তদন্তে নামে বসিরহাট থানার পুলিস ও বিএসএফ।
বাংলাদেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক যুবকের হাতে দেখা যাচ্ছে ইন্সাস রাইফেল নিয়ে বসে আছে। আর সেই ছবি ভাইরাল হতে জল্পনা শুরু হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে যে যুবককে দেখা যাচ্ছে তার নাম রানা। বাড়ি সাতক্ষীরা জেলা নারায়ণগঞ্জ গ্রামে। ভিডিয়োতে রানা বলছে, আমাকে আজহার, জুলফিকার, ইমরান এই তিনজন দুষ্কৃতী সাতক্ষীরা ভোমরা বর্ডারে পৌঁছে দিতে বলেছিল। এদের বাড়ি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলা পাটকেলঘাটা গ্রামে।
আরও পড়ুন: LIC IPO: মঙ্গলবারই শেয়ার মার্কেটে তালিকাভুক্ত হতে চলেছে এলআইসি আইপিও
একদিকে যেমন সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অন্যদিকে বিএসএফ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করে বসিরহাট থানার পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করাও হয়। ইতিমধ্যে ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করলে এখনও অধরা আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি। একদিকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ অন্যদিকে সীমান্ত পাচার সব মিলিয়ে সীমান্ত সুরক্ষিত হওয়ার পরেও অনুপ্রবেশ ও সীমান্ত পাচার চলছে। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেছিলেন, সীমান্তে বিএসএফ নিরাপত্তা দেয়। দেশের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করুন। পাশাপাশি পাচারের সঙ্গে বিএসএফের আধিকারিকরাও জড়িত। ইতিমধ্যে রাইফেল ফিরিয়ে আনার জন্য বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে প্রশাসনিক দফতরের ফ্ল্যাগ মিটিং শুরু হয়েছে। কিন্তু বিএসএফের তরফ থেকে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। কবে বিএসএফ হারিয়ে যাওয়া ইন্সাস রাইফেল ও গুলি ফিরে পায় এখন সেটাই দেখার।