বাঁকুড়া: কারখানার টিনের শেডের কাজ করতে গিয়ে শেড সহ কাঠামো ভেঙে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও ৩ ঠিকা শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার মেজিয়া থানার জেমুয়ার একটি বেসরকারি লৌহ ও ইস্পাত কারখানায়। পুলিস জানিয়েছে মৃত শ্রমিকের নাম আসলাম হোসেন (২৭) পুরুলিয়া জেলার ভেটিগ্রামের শ্রমিক। আহত তিনজনকে দুর্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে চিকিৎসার জন্য। দু’জনের চোট গুরুতর বলে জানা গিয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে গিয়েছে, জেমুয়া বেসরকারি লৌহ ও ইস্পাত কারখানায় নতুন একটি ইউনিটের শেড নির্মাণের কাজ চলছিল। একটি বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে নতুন ইউনিটের কাজ করছিলেন ঠিকা শ্রমিকরা। কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্মীয়মাণ শেডের কাঠামোতে বসে টিন বসানোর কাজ করছিলেন ৪ ঠিকা শ্রমিক। টিনের শেডের কাজ চলাকালীন ক্রেন দিয়ে মাত্রাতিরিক্ত টিনের শেড চাপিয়ে দেওয়া হয় উপরে।
আরও পড়ুন: Rain Forecast: গরম থেকে শীঘ্রই মুক্তি! আগামী পাঁচদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা এই ৫ জেলায়
এরপরেই অতিরিক্ত চাপের ভারে শেডের কাঠামো টিন সহ ভেঙে ৪০ ফুট উপর থেকে নীচে পড়ে যায়। গুরুতর জখম হন চার শ্রমিক। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও অন্য শ্রমিকরা তড়িঘড়ি আহত চার শ্রমিককে উদ্ধার করে মেজিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। সেখানে মৃত্যু হয় আসলাম হোসেন নামে বছর ২৭ বয়সের এক ঠিকা শ্রমিকের। বাকি তিন জনের চোট গুরুতর থাকায় তাদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া দুর্গাপুরে।
ভাঙা শেড
আরও পড়ুন:Tapan Kandu Murder CBI: তপন কান্দু হত্যার কেস ডায়েরি নিল সিবিআই
মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে মেজিয়া থানার পুলিস। মৃতের পরিবারের তরফ থেকে ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এত উঁচুতে শ্রমিকদের কাজে লাগিয়ে তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে কেন নজর দেয়নি ঠিকাদার সংস্থা, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখছে মেজিয়া থানার পুলিস।