অসম: বন্যার জেরে বিধ্বস্ত অসম। জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক জেলা। এখন পর্যন্ত কাছাড়, চরাইদেও, দারাং, ধেমাজি, ডিব্রুগড় এবং ডিমা-হাসাও-সহ ২০টি জেলা জুড়ে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন। অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বন্যা ও ভূমিধসে এখনও পর্যন্ত ৭ জন প্রাণ হারিয়েছে। শেষ দুদিনে দক্ষিণ আসম-সহ ত্রিপুরা, মিজোরামের সমস্ত ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার।
বন্যার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নিউ হাফলং রেলওয়ে স্টেশনের। ওই স্টেশনটি সম্পূর্ণভাবে ভেসে গিয়েছে। জলের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেন রেললাইন থেকে ভেসে গিয়েছে। অবশ্য প্রত্যেক যাত্রীকেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বন্যার কারণে অনেক পশু-পাখিরও মৃত্যু হয়েছে। কপিলি নদীতে জলের তরে একটি হাতির ডুবে যাওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে।
অসমের হোজাই জেলায় বন্যাকবলিত মানুষদের উদ্ধারে নেমেছে ভারতীয় সেনা। প্রায় ২ হাজার মানুষকে ওই জেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ৪৬ হাজার ১৬০.৪৩ শতাংশ জমি বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪৮ হাজার ৩০৪ জন মানুষকে রিলিফ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Partha Chaterjee: ডিভিশন বেঞ্চে পার্থ, মামলা থেকে অব্যাহতি চাইলেন দুই বিচারপতি
বোরখোলা এলাকায় জলস্তর বাড়তে থাকায়, জেলা প্রশাসন অবিলম্বে অসম রাইফেলসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা একসঙ্গে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছে। দুর্গতদের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অসম রাইফেলসের শ্রীকোনা ব্যাটালিয়ন সহ ভারতীয় সেনাবাহিনীর স্পিয়ার কর্পসের সৈন্যরা শনিবার অসমের কাছাড় জেলার বালিচড়া এবং বোরখোলা এলাকায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ডিমা হাসাও জেলায় ধসের ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করেছে। অসমে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার ১২৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে ত্রানের জন্য।