কলকাতা: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। এখন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব সিদ্ধান্ত নেবেন, ওই মামলা কোন বেঞ্চ শুনবে।
এসএসসি-র গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি এবং নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বুধবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দময় মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ওই বেঞ্চ নিয়োগ সংক্রান্ত ৭টি মামলা ফের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে পাঠিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের আগের নির্দেশই বহাল রাখে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই সাত মামলার ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের উপরই স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। আবার ওই বেঞ্চই বুধবার একক বেঞ্চের আগের নির্দেশেই আস্থা রেখে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন।
ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের পরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওই সাত মামলার শুনানি করেন। সাতটিতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি বুধবারই সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন। কিন্তু পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে বলে বেঞ্চ সেই মামলা গ্রহণ করতে রাজি হয় না। ফলে পার্থকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতেই হয়। তিনি অবশ্য নির্ধারিত সময়ের আগেই নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন গতকাল।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: কেউ দলের ঊর্ধ্বে নন, বাম আমলে চিরকুট দিয়ে চাকরি হত: মমতা