বোলপুর: আরও একবার রাতভর আটক বিশ্বভারতীর প্রশাসনিক কর্তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থার আজ ১৬ দিন। বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার, যুগ্ম রেজিস্ট্রার, জনসংযোগ আধিকারিক, অন্যান্য আধিকারিক ও অধ্যাপক মিলিয়ে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন সোমবার থেকে আটকে রয়েছেন বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনে। মাঝরাতে শান্তিনিকেতন থানা থেকে ওসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিসবাহিনী এলেও ঘেরাওমুক্ত হননি বিশ্বভারতীর আধিকারিকরা। পুলিসের সহযোগিতা নিয়ে আধিকারিক, বিভাগীয় প্রধানরা বেরতে চাইলে, আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা ভবনের মূল গেটে শুয়ে পড়েন। তাঁরা বলেন, যেতে হলে আমাদের উপর দিয়ে যেতে হবে। যদিও আন্দোলনকারীদের দাবি, আমরা কাউকে আটক করে রাখিনি।
পড়ুয়াদের দাবি, যে নোটিস দেওয়া হয়েছে ওই তিনটি দাবি যতক্ষণ না মেনে নেওয়া হবে ততক্ষণ চলবে আন্দোলন। এদিকে কেন্দ্রীয় ভবনের সামনে দুই পড়ুয়া মীনাক্ষী ভট্টাচার্য ও সোমনাথ সাউ আমরণ অনশনে বসেছেন। সব মিলিয়ে শান্তিনিকেতনে অশান্তির বাতাবরণ কিছুতেই কাটছে না।
আরও পড়ুন: Purulia Bandh: কংগ্রেসের ডাকা পুরুলিয়া বনধে মিশ্র সাড়া, বিপাকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা
হস্টেল খোলা সহ তিন দফা দাবি নিয়ে বিশ্বভারতীতে অচলাবস্থা আজ ১৬ দিনে পা দিল। বিশ্বভারতীর অধিকাংশ ভবনে তালা ঝুলছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তালা কে মারল, সে নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। আন্দোলনকারীদের দাবি স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্লাস বয়কট করেছেন পড়ুয়ারা।