নয়াদিল্লি: সাদা বাড়িতে (White House) তারুণ্যেরই হাওয়া। নাম ক্যারোলিন লিভিট (Karoline Leavitt)। বয়স মাত্র ২৭। আইসক্রিমের দোকান ছিল নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাড়িতে। কোনও রাজনৈতিক যোগসূত্র ছাড়া বেড়ে ওঠা ক্যারোলিন হতে চলেছেন এই সময়ে আমেরিকার সব থেকে প্রভাবশালী মানুষদের মধ্যে একজন। বিশ্বের সব থেকে প্রভাবশালী দেশ আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বক্তব্য সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরার ভার থাকবে তাঁর উপরে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে প্রবীণ ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trum) তাঁর আগামী প্রশাসনের শীর্ষপদে একের পর এক তরুণকেই নিয়ে এসেছেন। এবার সেই তালিকায় চমকপ্রদ নাম ঝকঝকে, বুদ্ধিদীপ্ত, স্মার্ট ক্যারোলিন। আমেরিকার ইতিহাসে তিনি সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সচিব (Press Secretary) হতে চলেছেন। একসময় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজে শিক্ষানবীশ ছিলেন লিভিট।
গত জুলাই মাসে মা হয়েছেন ক্যারোলিন। কিছু দিনের ছুটি নিয়েছিলেন। কিন্তু পেনসিলভেনিয়ায় প্রচারসভায় ট্রাম্পের উপর গুলি চলায় ঘরে বসে থাকতে পারেননি। প্রচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেন। তাঁর অদম্য প্রচেষ্টা রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারে সাড়া ফেলে দেয়। দলের জাতীয় প্রেস সচিব হয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য সংবাদমাধ্যন, ঘরে ঘরে পৌঁছে দেন এই তরুণী। আনুগত্যের সেই পুরস্কার পেলেন ক্যারোলিন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছেন, লিভিট স্মার্ট। কঠোর। সাড়া ফেলে দেওয়া গণজ্ঞাপক। তাঁর প্রতি আমার অগাধ ভরসা। আমাদের বার্তা তিনি আমেরিকার মানুষের কাছে খুব সুন্দর করে পৌঁছে দেবেন। রাষ্ট্রপুঞ্জে ট্রাম্প নিযুক্ত আমেরিকার আগামী রাষ্ট্রদূত এলিসে স্টেফানিকের কমিউনিকেশ ডিরেক্টরের দায়িত্বও একসময় সামলেছেন ক্যারোলিন।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সব থেকে আদিম উপজাতি হাজ্জা এখনও বানরের কাঁচা মাংস খায়
আমেরিকার ভাবী এই প্রেস সচিবের কথায়, কোনও রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করিনি। নিউ হ্যাম্পশায়ারে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার জন্ম। ম্যাঞ্চেস্টারে সেন্ট অ্যানসেল্ম কলেজে পড়ার সময় ভালোবেসে রাজনীতিতে আসি। এর আগে আরও অল্প বয়সে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রেস সেক্রেটারির দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতাও রয়েছে ক্যারোলিনের।
দেখুন অন্য খবর: