কলকাতা: ডেঙ্গি ছাড়াও যে মশাবাহিত রোগ এখনও বিভিন্ন অনেক তাজা প্রাণ কেড়ে নেয়, সেটি হল ম্যালেরিয়া। আর এবার এই রোগ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ল এক নতুন আতঙ্ক। কারণ এবার শিশুদের ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়ার ওষুধের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, আফ্রিকার শিশুদের ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত প্রধান ওষুধ আর্টেমিসিনের কার্যকারিতা কমে আসছ। সম্প্রতি ‘জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে, আর্টেমিসিনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে ম্যালেরিইয়ার জীবাণু। বিশেষত গুরুতরভাবে সংক্রমিত শিশুদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: ক্যানসার সারাবে ন্যানো রোবট! সুইডেনে যুগান্তকারী আবিষ্কার
উল্লেখ্য, ম্যালেরিয়া ‘প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপারাম’ নামক এক প্রকার পরজীবী দ্বারা সংক্রামিত হয়। মশার কামড়ের মাধ্যমে এই পরজীবী ছড়ায়। এই রোগের চিকিৎসায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত আর্টেমিসিন ভিত্তিক কম্বিনেশন থেরাপি ব্যবহৃত হয়। এতে আর্টেমিসিনের সাথে একটি ‘পার্টনার’ ওষুধ থাকে, যা দীর্ঘ সময় ধরে শরীরে থেকে অবশিষ্ট পরজীবী ধ্বংস করে। কিন্তু এবার এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রভাব কমছে আফ্রিকান ম্যালেরিয়া আক্রান্তদের মধ্যে। বিশেষ করে শিশুদের উপর এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রভাব কম দেখা যাচ্ছে। উগান্ডায় পরিচালিত এই গবেষণায় ১০০ জন গুরুতর ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত শিশুর মধ্যে মাত্র ১১ জনের ক্ষেত্রে আর্টেমিসিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা শনাক্ত কড়া গিয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ওষুধের কার্যকারিতা কম দেখা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে আফ্রিকায় ম্যালেরিয়ায় মোট ৬,০৮,০০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই কারণে ওষুধের কার্যকারিতা কমে যাওয়া আফ্রিকার ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে একটি যে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
দেখুন আরও খবর: