কলকাতাঃ দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2024) মরসুম। বাঙালিদের সেরা পার্বণ। বছরের এই সময়টা আনন্দে মেতে ওঠে আট থেকে আশি। আম জনতা থেকে তারকা, পুজোর আনন্দে গা ভাসান সকলে। বাঙালিদের কাছে পুজো মানেই দেদার আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া, প্যান্ডেল হপিং, গান-বাজনা। এই সময়টা টলি তারকারা কীভাবে আনন্দ করেন, সেদিকে নজর সকলের।
টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee)। ‘জি বাংলার রান্নাঘর’ (Zee Banglar Rannaghar) তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল খ্যাতির শীর্ষে। সঞ্চালিকা হিসেবে বেশ নামডাক ছিল এককালে। বর্তমানে ইউটিউবে তাঁর রান্নার শো ‘সুদীপার রান্নাঘর’ (Sudipar Rannaghar) বেশ জনপ্রিয়। সঞ্চালিকার শ্বশুরবাড়ি দক্ষিণ কলকাতায়। এ বাড়িতে প্রতিবছর দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়। বাড়ির দুর্গা বেশ জাগ্রত।
সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের স্বামী অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়ি ঢাকায়। ওপার বাংলায় বেশ বড় করে পুজো হত একসময়। বিয়ের পর থেকে সুদীপা পুজো শুরু করেন কলকাতার বাড়িতে। প্রায় চোদ্দ বছর ধরে পুজোর দায়িত্ব সামলে আসছেন সুদীপা। এবাড়ির পুজোয় রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম নীতি। সুদীপা জানান এই সময়ে দেবী দুর্গা তাঁদের বাড়িতে আসেন মেয়ে উমা হয়ে।
অভিনেত্রীর বাড়িতে পুজো হয় ত্রিবেণী মতে। অর্থাৎ, তিনটি আলাদা আলাদা মতে পুজো। ষষ্ঠী-সপ্তমীর পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। সপ্তমীতে আসেন শিব। ওইদিন অষ্টমী পড়ার আগের তিথি অনুযায়ী, শৈব মতে পুজো হয়। অষ্টমীর পুজো হয় শৈব ও বৈষ্ণব মতে। এরপর হয় বলিদান। সন্ধিপুজোর পর থেকে শুরু হয় তন্ত্র মতে পুজো। নারায়ণ তুলে দেওয়া হয়। তারপর হয় মা দুর্গার মৎস মুখ। যেহেতু দেবী সধবা তাই মাছ না খাইয়ে শ্বশুরবাড়ি পাঠানো যায় না।
চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল মাকে রক্তদান। সুদীপার কয়েক ফোঁটা রক্ত রঙের সঙ্গে মিশিয়ে মায়ের মুখের রং করা হয়। নাহলে প্রতিমার মুখ ফ্যাকাশে লাগে। সুদীপা জানান, একবছর শিল্পী পশুপতি রুদ্র পাল কিছুতেই প্রতিমার মুখের রং ফোটাতে পারছিলেন না। তখন শিল্পী বলেছিলেন সুদীপা রক্ত দিতে পারবেন কি না। সুদীপার রক্ত মেশানো রঙে মায়ের জেল্লা ফুটে ওঠে। তখন থেকেই এই প্রথা চলে আসছে।
দেখুন আরও খবরঃ