ইজরায়েল: গাজায় ধ্বংস যজ্ঞ। পুড়ছে লেবানন। ইজরায়লি সেনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে হামাস ও হিজবুল। প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে ইরাক। ছেড়ে কথা বলছে না ইরাকের ইসলামিক রেজিসটেন্সও। গাজায় এখনও ধুকছে ইজরায়েলি সেনারা। লেবাননের সীমান্ত থেকে পালাতে শুরু করেছে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী।
উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ড্রোন দিয়ে তৃতীয়বারের মতো ইজরায়েলি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ‘ইরাকের ইসলামিক রেজিট্যান্স বিবৃতি জারি করে বলেছে তারা ইহুদিবাদী শাসকের বিরুদ্ধে নতুন আক্রমণ শুরু করেছে। এই আক্রমণের উদ্দেশ্য স্পষ্ট। দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধি করা।
আরও পড়ুনঃ ইরানের তেল ভাণ্ডারে হামলা হলে মাশুল গুনতে হবে সৌদি আরবকে?
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে আমাদের যোদ্ধারা ড্রোন দিয়ে অধিকৃত অঞ্চলের উত্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করছে। তাদের প্রথম ড্রোন অভিযানটি দখলকৃত অঞ্চলের দক্ষিণে উম-আল-রাশরাশ বন্দরে একটি লক্ষ্য বস্তুতে আঘাত হানে। যা ‘ইলাত’ নামে পরিচিত।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর শহরটিকে লক্ষ্য নির্ধারন করে ইরাকি প্রতিরোধ। এই ঘটনায় ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধারা বুঝিয়ে দিয়েছে প্রতিরোধের আন্দোলন এখন আরও শক্তিশালী। ইরাকি সেনা ঘোষণা করেছেন ইজরায়লি দখলদারদের প্রতিহত করার জন্য। ফিলিস্তিন ও লেবাননের সাধারণ মানুষকে সাহায্য করা তাদের উদ্দেশ্যে ।
এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যর সংঘাত নতুন মাত্ৰা নিচ্ছে। ফিলিস্তিনের চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইসরায়লি বাহিনীও হিজবুল্লাহ, হামাস, হুথি ও ইরাকি প্রতিরোধের প্রতিশোধের ভয়ে কাঁপছে। সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু শুধু গাজা নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্য।
সম্প্রতি ইরাক থেকে ইজরাইলে ধরনের আরও একটি ড্রোন হামলা চালানো হয়। অন্তত দু’জন ইজরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। আহত ২৪। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা সংকটজনক। গতবছর অক্টোবরে গাজায় সামরিক অভিযানের পর ইরাকি সেনার হামলায় ইজরায়েলি সেনার মারা যাওয়ার ঘটনা এটাই। হামলা দুটি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। যা কোলান মালভূমির ইজরায়েলি এলাকায় আঘাত হানে।
দেখুন আরও খবরঃ