নয়া দিল্লি: ওয়াকফ- সংশোধনী (WAQF Bill) বিল প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার অশান্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের উমরপুর এলাকা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে বাধ্য হয় পুলিশ। তবু শান্ত হয়নি জনতা—ঘণ্টার পর ঘণ্টা জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বজায় থাকে এলাকাজুড়ে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। একইসঙ্গে রাজ্য প্রশাসনকে কড়া হাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
রাজভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যপালের নির্দেশে প্রশাসনকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনওরকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। তাঁর নিযুক্ত বিশেষ আধিকারিক জানান, “রাজ্যপাল চেয়েছেন অবিলম্বে হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে এবং গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট রাজভবনে জমা দিতে হবে। এই ধরনের হিংসাত্মক পরিস্থিতি গণতন্ত্রের পরিপন্থী।”
আরও পড়ুন: রাজনীতিতে নয়া ইনিংস শুরু প্রাক্তন ক্রিকেটার কেদার যাদবের
উল্লেখযোগ্য, সম্প্রতি সংসদের উভয় কক্ষে গৃহীত হয়েছে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল। বিরোধীদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিলটি পাশ হয়ে যায়। এরপর থেকেই দেশের নানা প্রান্তে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। তবে উমরপুরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজভবনের মত, পরিকল্পিতভাবে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে—এবং তা কোনোক্রমেই বরদাস্তযোগ্য নয়।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যপালের বিশেষ আধিকারিক আরও বলেন, “ভারতের সংসদে গৃহীত এই আইন দেশের জনগণের প্রতিনিধিদের মতেই পাশ হয়েছে। তবুও যদি কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হিংসা ছড়ায়, তবে সেই অপচেষ্টা কঠোরভাবে দমন করতে হবে। রাজ্যপাল স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধাচরণকে কোনোমতেই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “রামনবমীর মতো উৎসব যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে, সেখানে এই ধরনের হিংসা রাজ্যের সম্প্রীতির বাতাবরণকে কলঙ্কিত করছে। প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, সংবাদমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের মিলিত প্রচেষ্টায় যে সৌহার্দ্যের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাকে ভাঙার চেষ্টা যে করবেই—তাকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে। এই বার্তাই রাজ্যপালের তরফে রাজ্য প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।”
দেখুন আরও খবর: