কলকাতা: ত্রিপুরায় কতজন তৃণমূল (Trinamool) করছে, তা আর দেড় বছরের মধ্যে বুঝতে পারবেন দিলীপ ঘোষেরা (Dilip Ghosh)। ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের আসাটা খালি সময়ের অপেক্ষা। শান্তিপূর্ণ অহিংস পথে আসবো আমরা। কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরা পুলিশকে “মেরুদণ্ড” সোজা রেখে কাজ করার পরামর্শ তৃণমূলের
শুক্রবার সকাল ৯টা ২০-র বিমানে কলকাতা থেকে আগরতলায় যাচ্ছেন দলের চার সাংসদ- বারাসতের কাকলি ঘোষ দস্তিদার, জয়নগরের প্রতিমা মণ্ডল ও রাজ্যসভার সদস্য আবিররঞ্জন বিশ্বাস এবং অর্পিতা ঘোষ। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও তাঁদের সঙ্গে ত্রিপুরা যাচ্ছেন।
ব্রাত্য বসু বলেন, ত্রিপুরা সরকার প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ওরা ভয় পাচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনঘন যাওয়ার ফলে নিজেদেরকে বিপন্ন বোধ করছেন। একটার পর একটা প্রশাসনিক ভুল পদক্ষেপ নিচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস তো ওখানে সংগঠন বিস্তার করতে চাইছে।
আরও পড়ুন: অভিষেক-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা ত্রিপুরা পুলিশের
বিজেপিকে ব্রাত্য কটাক্ষ, আপনারা যদি ওখানে ভালো কাজ করে থাকেন ভয় পাওয়ার কি আছে? হয়তো বুঝতে পারছেন ত্রিপুরার মানুষ বিজেপিকে আর চাইছে না। বিকল্প হিসাবে বাম কিংবা রাম নয়, চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসকে।
বাম-তৃণমূল জোট ইস্যুতেও মুখ খোলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ত্রিপুরার বামেরা যেহেতু মাটিতে বসবাস করে, ফলে তারা বুঝতে পারছে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওখানে লড়তে পারে। ত্রিপুরার বামেরা অনেক বেশি বাস্তব সচেতন। বামেদের সঙ্গে কোনওদিন জোট হবে না, কিন্তু বামেদের কোনও নেতা-কর্মী যদি আমাদের দলে আসতে চায়, তাহলে তাঁদের সবসময় স্বাগত।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেত্রীর সামনে শুভেন্দুর নামে জয়ধ্বনি কর্মীদের! ভাইরাল ভিডিও