কলকাতা: এক সময়ে ছিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। পরে একাধিকবার বাংলা থেকে নির্বাচনে লড়াই করেও জিততে পারেননি। পরে মেঘালয়ের রাজ্যপাল করা হয় তাঁকে। তারও পরে ত্রিপুরার রাজ্যপালের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই সাংবিধানিক পদ ছেড়ে ফের বাংলায় ফিরে রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন বিজেপির প্রবীণ নেতা তথাগত রায়।
রাজ্যপাল থাকা অবস্থাতেই নানাবিধ রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে নিজের অভিমত প্রকাশ করতেন তিনি। একটি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের পদে আসীন হয়েও নানাবিধ রাজনৈতিক বিষয়ে মন্তব্য রাখা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। তবে কোনও মঞ্চ থেকে নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করতেন তথাগত রায়। বিরোধী শিবিরকে কটাক্ষও করতেন তিনি।
তথাগত রায়ের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে বাম-কংগ্রেস ছাড়াও তৃণমূলকেও কটাক্ষ করতেন। নিজের দলে তাঁর গুরুত্ব নিয়ে পালটা জবাব আসছিল। পরে সরাসরি তথাগতবাবুকে দাদু বলে সম্বোদ্ধন করতে শুরু করে বিজেপি বিরোধী নেটিজেনরা। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে এই ধারা বজায় থেকেছে। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর টুইট ঘিরে অনেক সময়েই জবাব আসতো, “আপনার দল আপনাকে কী গুরুত্ব দিয়েছে?” পরে বিজেপির প্রবীণ নেতাকে ‘দাদু’ বলে কটাক্ষ করতে শুরু করে বামেরা। পরে সেই একই ধারা অবলম্বন করতে থাকে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- শিক্ষিকাদের বিষ খাওয়ার ঘটনায় একাধিক ইস্যুতে মামলা দায়ের হাইকোর্টে
দিন কয়েক আগে এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তথাত রায়। তিনি লেখেন, “যারা আমাকে ‘দাদু’ সম্বোধন করে তাদেরকে আমার আশীর্বাদ জানাই। শুধু সেই সব নাতি-নাতনিদের কাছে একটা প্রশ্নের উত্তর কিছুতেই পাচ্ছি না। ‘দাদু’ মানে তো বাবার বাবা ও মায়ের বাবা দুই-ই হয়। আমি তাদের মধ্যে কাদের বাবার এবং কাদের মায়ের জন্ম দিয়েছিলাম?”
আরও পড়ুন- জনগণের টাকা নিজেদের কোষাগারে নেওয়ার কৌশল করছে মোদি সরকার: মমতা
এই নিয়েঅ শুরু হয়ে যায় ট্রোল। ওই পোস্টেও অনেকে দাদু বলেই কটাক্ষ করতে থাকেন তথাগত রায়কে। এরপরে প্রাক্ত রাজ্যপাল যত পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় করেছেন সেখানেও একই কটুক্তি করতে শুরু করেছেন নেটিজেনরা। সিরিয়াস কোনও বিষয় নিয়ে পোস্ট করলেও সেখানে দেখা গিয়েছে একই কটাক্ষ। সম্প্রতি ত্রিপুরার রাজনীতি নিয়ে তাঁর সতর্কতামূলক পোস্টেও দেখা গিয়েছে একই মন্তব্য। কে কেমন উপায়ে তথাগতবাবুর দাদু সেই ব্যাখ্যাও করেছেন নেটিজেনরা।