কলকাতা: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের শুনানিতে শুক্রবার বিধানসভায় গিয়ে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১টা ৫৭ নাগাদ শুভেন্দু বিধানসভার অধ্যক্ষের ঘরে যান শুভেন্দু। ৩ মিনিট কথা বলেই বেরিয়ে যান তিনি।
আরও পড়ুন: মঙ্গলকোটে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় তদন্তে সিআইডি
সূত্রের খবর, অধ্যক্ষ শুভেন্দুকে আরও কিছু নথি জমা দেওয়ার কথা বলেন। কোথায় কোথায় সই-সাবুদ করতে হবে সেগুলিও দেখিয়ে দেন। ৩০ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন স্পিকার। বিধানসভার অধিবেশন বয়কট করার পর এই প্রথম স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে ৬৪ পাতার অভিযোগ দায়ের করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের অভিযোগপত্রটি মহেশ জেঠমালানি এবং বিজেপি সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব তৈরি করেছেন।
আরও পড়ুন: দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভার আসনে ভোট
বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে একাধিক সাংসদ বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধেও লোকসভার মুখ্য সচেতক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে একই অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু তাঁদের সাংসদ পদ খারিজ হওয়ায় নিয়ে এখনও কোনও শুনানি শুরু হয়নি।
লোকসভার সচিবালয় থেকে বৃহস্পতিবার সুনীল মণ্ডল এবং শিশির অধিকারীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। গত কয়েকদিনে দু’বার চিঠি দেওয়ার পরে এই প্রথম লোকসভার সচিবালয় থেকে তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যদিও শুনানি প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি এই দুই সাংসদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: EXCLUSIVE: জেএমবির জাল গোটাতে দিল্লিতে এসটিএফ
রাজ্য বিধানসভায় অভিযোগের ১৫ দিনের মধ্যে শুনানি প্রক্রিয়া শুরু করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে বিজেপির বিধায়ক মুকুল রায়। তিনি বিধানসভায় বিরোধীদের জন্য বরাদ্দ ১৫ নম্বর আসনেই বসেন। এছাড়াও বিরোধী বিধায়ক হিসেবে পিএসি চেয়ারম্যান হিসেবে মুকুলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
নব-নির্বাচিত পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি ও হাউস কমিটির সমস্ত চেয়ারম্যানদের নিয়ে শুক্রবার বৈঠক ডেকেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিরোধীদের জন্য বরাদ্দ ১০টি চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায় এবং নওশাদ সিদ্দিকী ছাড়া বাকি ৮ জন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।