কলকাতা: দিল্লির ফরিদাবাদে কলকাতা পুলিশের এসটিএফের দল। এসটিএফের হাতে ধৃত জেএমবি জঙ্গি রাহুলের একটি অফিস আছে ফরিদাবাদে। সেই অফিসে তল্লাশি চালাতে শুক্রবার দিল্লি পৌঁছালো এসটিএফের একটি দল। রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পেয়েছিল এসটিএফ। জানতে পারে, তাঁর একটি অফিস রয়েছে দিল্লির ফরিদাবাদে। এসটিএফ সূত্রে খবর, এই অফিসে হানা দিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং নথি তাঁদের হাতে আসতে পারে। বুধবার গভীর রাতে রাহুলকে বারাসাত থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার ইমপোর্ট ও এক্সপোর্টের ব্যবসা আছে। সেই ব্যবসার আড়ালে জঙ্গিদের ফান্ডিং এর কাজ করে যেত রাহুল।
আরও পড়ুন: তালিবান সংঘর্ষের মুখে পড়ে নিহত বিশিষ্ট ভারতীয় চিত্র সাংবাদিক
‘বিকাশ’ মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের সাহায্যে বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মোবাইলের মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করা যায় খুব সহজে। এর মাধ্যমে রাহুল সেন ওরফে লালুর কাছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় টাকা পাঠাত জামাতুল মুজাহিদিন এর লোকেরা। সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে লালু এই টাকা নিয়ে ভারতে আসত। এরপর সেই টাকা যেখানে পাঠানোর সেখানে পাঠিয়ে দিত সে। রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী অফিসাররা।
আরও পড়ুন: দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভার আসনে ভোট
২০১৫ সালে বাংলাদেশ হিউম্যান ট্রাফিকিং-এ গ্রেফতার হন রাহুল। জেলেই তাঁর পরিচয় হয় আল আমিনের সঙ্গে। সেখানেই এই জঙ্গি সংগঠনের জন্য টাকা তোলার দায়িত্ব নিয়ে জেল থেকে বেরোয় রাহুল। বাইরে এসে পুরনো গাড়ি কেনাবেচার ব্যবসা শুরু করে রাহুল ও তাঁর শাগরেদ হৃদয়। সেখান থেকে যা আয় হত তা সংগঠনের কাজে ব্যবহার করা হত। হরিদেবপুরের তিন জেএমবি জঙ্গি গ্রেফতারের পর তদন্তের সূত্র ধরে জঙ্গি সন্দেহে বারাসাতে মধুমুরালি থেকে গ্রেফতার করা হয় ৩৮ বছর বয়সী লালুকে। এরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই দিল্লির অফিসের সন্ধান পায় এসটিএফ।